ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক অভিযানে হেরোইন ও ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ আটক ৩ Logo হারানো মোবাইল উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ Logo পাবনা-২ আসনে প্রার্থিতা ফেরত পেতে ডলি সায়ন্তনীর আপিল Logo নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগে ফেনী-১ আসনের আ.লীগ প্রার্থীকে তলব Logo সুন্দরগঞ্জে বোরো বীজ ও সার বিতরণ Logo গুলশানের নিধি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা Logo সিংড়ায় মেয়রের গাড়ি, ২টি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১১টি যানবাহন আগুনে Logo ২৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ২৫৩টি স্থানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা Logo কিউবার প্রধানমন্ত্রী সফর চীন-কিউবার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে Logo বেলারুশ-চীন সর্বজনীন সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের বিকাশ ঘটাবে; লুকাশেঙ্কো

সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না…আব্দুস সালাম

বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ”নাগরিক মঞ্চ”-এর আয়োজনে গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে সারাদেশের জনগণ একদিকে আর আওয়ামী লীগ একদিকে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে থাকবে এটা কি বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে নাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ঠিক করবে?
তিনি বলেন, দেশের জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভোটের আগে দেশে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আরেক দেশের গোলামী করার জন্য না। দেশের মানুষ আজ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের কথা আমরা একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এই সরকারের বাইরে কেউ কথা বলতে পারবে না এটাই নাকি গণতন্ত্র। ভারতের সাথে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ না থাকলেও হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সব জায়গায় মুখ বন্ধ এটাই হল আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিদেশীদেরকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না আর বাংলাদেশিদেরকে তো দেয়াই যাবে না। ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়নি। খারাপ হয়েছে তখনই যখন এদেশের অর্থ সব লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে।
গণতন্ত্রের কথা বলে মায়া কান্না করে এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ আরামে নাই আরামে আছে আওয়ামী লীগ যারা দেশের টাকার লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, আগামীতে যদি জোর করে ক্ষমতায় যেতে চান ওই নির্বাচন আর বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। জনগণ আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেবে না। দেশের জনগণকে বলি এই সরকারের অধীনে যদি থাকতে চান তাহলে ইহকাল গেছে পরকালও গেছে। যদি পরকালকে বাঁচাতে চান আসেন রাস্তায় নামি। এই সরকারের পতন ছাড়া বিএনপির থামবে না।
দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, মামুন হাসান, কৃষক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি আসাদুর রহমান খান,বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ- চেয়ারম্যান মো: মাসুদ হোসেন,বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি- চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনি, ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, সুশীল সমাজের সভাপতি মোঃ জাহিদ, এনডিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব ডা. মোঃ শওকত হোসেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক অভিযানে হেরোইন ও ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ আটক ৩

সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না…আব্দুস সালাম

আপডেট সময় ০৬:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ”নাগরিক মঞ্চ”-এর আয়োজনে গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমানে সারাদেশের জনগণ একদিকে আর আওয়ামী লীগ একদিকে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে থাকবে এটা কি বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে নাকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ঠিক করবে?
তিনি বলেন, দেশের জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভোটের আগে দেশে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আরেক দেশের গোলামী করার জন্য না। দেশের মানুষ আজ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের কথা আমরা একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এই সরকারের বাইরে কেউ কথা বলতে পারবে না এটাই নাকি গণতন্ত্র। ভারতের সাথে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ না থাকলেও হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বর্তমানে সব জায়গায় মুখ বন্ধ এটাই হল আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিদেশীদেরকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না আর বাংলাদেশিদেরকে তো দেয়াই যাবে না। ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়নি। খারাপ হয়েছে তখনই যখন এদেশের অর্থ সব লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছে।
গণতন্ত্রের কথা বলে মায়া কান্না করে এই দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষ আরামে নাই আরামে আছে আওয়ামী লীগ যারা দেশের টাকার লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, আগামীতে যদি জোর করে ক্ষমতায় যেতে চান ওই নির্বাচন আর বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। জনগণ আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেবে না। দেশের জনগণকে বলি এই সরকারের অধীনে যদি থাকতে চান তাহলে ইহকাল গেছে পরকালও গেছে। যদি পরকালকে বাঁচাতে চান আসেন রাস্তায় নামি। এই সরকারের পতন ছাড়া বিএনপির থামবে না।
দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, মামুন হাসান, কৃষক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি আসাদুর রহমান খান,বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ- চেয়ারম্যান মো: মাসুদ হোসেন,বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি- চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রহমান আমিনি, ইসলামি সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, সুশীল সমাজের সভাপতি মোঃ জাহিদ, এনডিএম’র সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব ডা. মোঃ শওকত হোসেন।