ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ (ভিডিও) Logo ঝিনাইগাতীতে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার Logo দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা নির্বাচিত Logo সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় সমাপনী দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে বিশেষ অভিযানে পৌর প্যানেল মেয়রসহ আ’লীগের ১০ নেতাকর্মী আটক Logo কটিয়াদীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo খুলনায় সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ Logo বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবন্ধের দাবিতে বরুড়া মানববন্ধন Logo শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সরাইলের পাটখড়ি নিয়ে কথা কাটাকাটি, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সরাইল উপজেলা’র শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ দেওবাড়িয়া এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে মলাইশ এলাকার কাশিনাথ বৈশ্য’র ছেলে রঘুনাথ বৈশ্য (৩২) এর বাড়ির পিছন থেকে পাটখড়ি নিয়ে চলে যায় দেওড়ার কামরুল ইসলাম এর ছেলে ইমন মিয়া। এসময় রঘুনাথ বৈশ্য বাধা দেয়, পরে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় রঘুনাথ’র ছেলে অন্তর বৈশ্য ছুটে এলে তাকে মারধর করে কামরুলের ছেলে ইমন।

বিষয়টি কামরুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি রঘুনাথ বৈশ্য কে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
কিছুক্ষন পরে কামরুল ইসলাম তার ছেলে ইমন লোকজন নিয়ে রঘুনাথ বৈশ্য’র বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করে ও পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়। এসময় তার ভাতিজী জমুনা বৈশ্য ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির খগেন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারধর করে। কামরুল ও তার লোকজন রঘুনাথ ‘র ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা আস্তে সটকে পড়ে।

ভুক্তভোগী রঘুনাথ বৈশ্য বলেন, পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে আবার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে সরাইল থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে মামলা না নিয়ে তাকে হাসপাতালে যাইতে বলে। পরের দিন তিনি বাদি হয়ে মোঃ কামরুল ও তার ছেলে ইমন, সোলেমান, মোস্তাকিন সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় অপূর্ব বৈশ্য (৭০) বলেন, আমি রঘুনাথের বাড়িতে শোরগোল শুনে এসে দেখি বাড়িতে তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পাড়ার লোকজন জড়ো হলে কামরুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে চলে যায়।

শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য হরি বিলাশ দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই, আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তিনি বিষয়টি থানা পুলিশ বা ইউপি চেয়ারম্যান কে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মোঃ কামরুল বলেন, আমার ছেলে ইমন কে অনেক মারধোর করে তারা। আর পাটখড়ি আমার গুলোই আনছে তাদের গুলো আনছে না, আমার ছেলে টা একটু সহজ সরল। সে মাইর খাওয়ার পরে কয়েকজন নিয়ে রঘুনাথের বাড়িতে উঠে যায়, পরে আমি গেলে আমাকে সেখানকার লোকজন গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ (ভিডিও)

SBN

SBN

সরাইলের পাটখড়ি নিয়ে কথা কাটাকাটি, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সরাইল উপজেলা’র শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ দেওবাড়িয়া এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে মলাইশ এলাকার কাশিনাথ বৈশ্য’র ছেলে রঘুনাথ বৈশ্য (৩২) এর বাড়ির পিছন থেকে পাটখড়ি নিয়ে চলে যায় দেওড়ার কামরুল ইসলাম এর ছেলে ইমন মিয়া। এসময় রঘুনাথ বৈশ্য বাধা দেয়, পরে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় রঘুনাথ’র ছেলে অন্তর বৈশ্য ছুটে এলে তাকে মারধর করে কামরুলের ছেলে ইমন।

বিষয়টি কামরুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি রঘুনাথ বৈশ্য কে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
কিছুক্ষন পরে কামরুল ইসলাম তার ছেলে ইমন লোকজন নিয়ে রঘুনাথ বৈশ্য’র বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে মারধর করে ও পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়। এসময় তার ভাতিজী জমুনা বৈশ্য ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির খগেন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এগিয়ে এলে তাদেরকে ও মারধর করে। কামরুল ও তার লোকজন রঘুনাথ ‘র ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা আস্তে সটকে পড়ে।

ভুক্তভোগী রঘুনাথ বৈশ্য বলেন, পরে তার স্ত্রীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে আবার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে সরাইল থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে মামলা না নিয়ে তাকে হাসপাতালে যাইতে বলে। পরের দিন তিনি বাদি হয়ে মোঃ কামরুল ও তার ছেলে ইমন, সোলেমান, মোস্তাকিন সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় অপূর্ব বৈশ্য (৭০) বলেন, আমি রঘুনাথের বাড়িতে শোরগোল শুনে এসে দেখি বাড়িতে তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পাড়ার লোকজন জড়ো হলে কামরুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে চলে যায়।

শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য হরি বিলাশ দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই, আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তিনি বিষয়টি থানা পুলিশ বা ইউপি চেয়ারম্যান কে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মোঃ কামরুল বলেন, আমার ছেলে ইমন কে অনেক মারধোর করে তারা। আর পাটখড়ি আমার গুলোই আনছে তাদের গুলো আনছে না, আমার ছেলে টা একটু সহজ সরল। সে মাইর খাওয়ার পরে কয়েকজন নিয়ে রঘুনাথের বাড়িতে উঠে যায়, পরে আমি গেলে আমাকে সেখানকার লোকজন গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।


Fatal error: Uncaught wfWAFStorageFileException: Unable to save temporary file for atomic writing. in /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php:34 Stack trace: #0 /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php(658): wfWAFStorageFile::atomicFilePutContents('/home/bestweb/p...', '<?php exit('Acc...') #1 [internal function]: wfWAFStorageFile->saveConfig('transient') #2 {main} thrown in /home/bestweb/public_html/wp-content/plugins/wordfence/vendor/wordfence/wf-waf/src/lib/storage/file.php on line 34