সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নির্মিত আল কোরআনের আদলে ভাস্কর্যটি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। ভাস্কর্যটির চার পাশে স্থানীয় অবৈধ দখলদাররা গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যবসার পসরা। এরফলে ময়লা আবর্জনার স্তূপ হয়ে গেছে আল কোরআনের আদলে নির্মিত ভাস্কর্যটি। যার ফলে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে ভাস্কর্যটি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র উচালিয়াপাড়া মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে আল কোরআনের আদলে একটি ভাস্কর্য। যা এখন অবৈধ দখল দাররা চারদিক দিয়ে ব্যাবসা সাজিয়ে বসে আছে। যার ফলে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে ভাস্কর্যটি।
ভাস্কর্যটির উত্তর পাশ থেকে শুরু করে একেবারে উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত প্রতিদিন অস্থায়ী বাজার বসে। যার ফলে প্রতিদিন সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল উচালিয়াপাড়া মোড়ে প্রতিনিয়ত যানযটের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও কিছু মাছ, ফল, কাঁচাসবজি ব্যাবসায়ী ও ফাস্টফুডের দোকানী অস্থায়ী স্থাপনা বানিয়ে দখল করে রেখেছে সরকারি জায়গাটি। এর জন্য ও প্রতিদিন যানযটের সৃষ্টি হয়। আর যত্রতত্র অটো রিক্সা ও সিএনজি চালিত অটো রিক্সা দাড় করিয়ে রাখার দরুন সৃষ্টি হয় যানযটের। অন্যদিকে ভাস্কর্যটিও তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
২০২১ সালে এই ভাস্কর্যটির কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। পরে ২০২২সালে ওই নব নির্মিত ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। যার নির্মাণ ব্যায় হয়েছে দশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা।
স্থানীয়রা অনেকেই বলছিলেন আশপাশের অবৈধ স্থাপনা ও দোকান গুলো সরিয়ে দিতে পারলেই আল কোরআনের আদলে নির্মিত ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয় নুরুল ইসলাম লাল বাদশা নামে একজন বলেন, এমন সুন্দর একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে যার জন্য আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান কে ধন্যবাদ জানাই। আর এই ভাস্কর্যটির চারপাশে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা গেলে ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ভাস্কর্যটি কাচ দিয়ে ঢেকে দিলে কোরআনের আয়াত গুলো নষ্ট হবে না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আপনারা জানেন কোরআন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। যার দিকে তাকালে মানুষের মনে ভয় হয়। এই ভাস্কর্যটির চারদিকে স্টিলের চেইন দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে করে এর সৌন্দর্য নষ্ট না হয়। দুঃখের বিষয় এইটার চার দিকে বেড়া দিয়েও অবৈধ দখল দারদের রুখা যাচ্ছে না। ভাস্কর্যটির সৌন্দর্য রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এর পাশের রাস্তাটি সর্বোচ্চ এক মাসের ভিতরে শুরু করতে পারবো বলে মনে করছি। তাহলে উচালিয়াপাড়া মোড়ের যানযট কিছুটা কমে যেতে পারে। ভাস্কর্যটির আলোকসজ্জার কাজ ও সম্পন্ন করা হবে, তবে সকলে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসলে অবৈধ দখল দারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে।