সরাইলে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮মার্চ) সকালে সরাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরাইল শাখার আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠক ২০২৩ বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও কলামিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরাইল শাখার সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান’র সভাপতিত্বে ও সরাইল উদীচী শাখার সম্পাদক সুমন পারভেজ ‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক দুইবারের সাংসদ ও সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আ’লীগ নেতা এড. আব্দুর রাশেদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য এড. কামরুজ্জামান আনসারী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য আ’লীগ নেতা এড. সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, উদীচী জেলা শাখার সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সমাজসেবক ও কলামিষ্ট মো. ফজলুল হক মৃধা, অরূয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিম, বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় ও উদীচীর সদস্য ও শিক্ষক দেওয়ান দেওয়ান রৌশন আরা লাকী প্রমূখ।
আলোচনা হয়েছে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ইভটিজিং মাদক ও বাল্যবিয়ে সহ বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।
সরাইলের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আলোকিত ব্যক্তিত্ব ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অবৈতনিক অধ্যক্ষ, গবেষক ও একাধিক বইয়ের লেখক সঞ্জীব কুমার দেবনাথকে সম্মাননা স্বারক (ক্রেষ্ট) প্রদান করেছে উদীচী। ভবিষ্যতে স্থানীয় আরো গুণী জনকে সম্মাননা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
বক্তারা দীর্ঘদিন পর সরাইলে এমন একটি গুরূত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজক স্থানীয় উদীচীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা লালনকারী সংগঠনের নাম উদীচী। তারা নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তারা বারবার জঙ্গিবাদের উগ্র হামলার শিকার হয়েছে।
কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি বর্তমানে কোথাও পালা ও জারি গানের আয়োজন করলে ১০-১৫ দিন আগে ডিসি এসপি মহোদয়দের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হয়। কোন দিকে যাচ্ছে এই দেশের সংস্কৃতি? উদীচীর এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে স্থানীয় গুণীজনরা সম্মান পাবে। সরাইল আরো সমৃদ্ধ হবে।