সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে (১৪) বছর বয়সী এক মাদ্রাসার শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উজ্জ্বল মিয়া নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীকে ইভটিজিং, ধর্ষণ, বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল উজ্জল মিয়া (২২) নামে ওই বখাটে। ওই শিশু ছাত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার অভিযোগে উজ্জল মিয়া কে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানার পুলিশ। উপজেলার পাকশিমুল এলাকার প্রবাসী পিতার মেয়ে ওই শিশু ছাত্রী। আর বখাটে উজ্জল মিয়া একই এলাকার ছাত্রীর প্রতিবেশী।
সোমবার গভীর রাতে সরাইল থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন বখাটে উজ্জল মিয়া কে।
ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে আপত্তিকর স্থিরচিত্র, ভিডিও ধারণ ও পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে নির্যাতনের অভিযোগ এনে উজ্জলের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উজ্জল গত ২৩শে মার্চ ছাত্রীকে তার এক পরিচিত বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে যৌন হয়রানি করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় কৌশলে ছাত্রীর গোসল ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে বখাটে উজ্জ্বল। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে উজ্জ্বল। বিষয়টি কাউকে জানালে বা আইনের আশ্রয় নিলে ছাত্রীকে খুন করার হুমকিও দেয় সে। উজ্জলের এমন সব মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী।
সোমবার ভুক্তভোগী ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়, পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ছাত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
বখাটে উজ্জ্বলের নির্যাতনের শিকার শিশুর মামার দায়ের করা মামলায় গত সোমবার গভীর রাতে পুলিশ উজ্জলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল উজ্জলকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উজ্জলের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আরো মেয়েকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।