ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে Logo আওয়ামীলীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪কর্মীকে কুপিয়ে জখম Logo সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের সপ্তাহ ব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ Logo হিজলায় ড্রেজার বাল্কহেড ও নগদ টাকা সহ ৬ দুষ্কৃতিকারীকে আটক Logo নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ Logo লাকসাম প্রেসক্লাবে বদিউল আলম সভাপতি. ফারুক আল শারাহ সম্পাদক নির্বাচিত Logo আস-সুন্নাহ’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুরে ঘর প্রদান Logo নতুন গানে আকাশের সঙ্গী অন্তরা Logo ইউএসবি স্পেসালাইজড হাসপাতালের পরিচালক প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহন করলেন মানবিক ডাক্তার রেজাউল হক জুয়েল

সিংড়ায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের ফাঁসি, চার জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের সিংড়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাটোর জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মো. সাব্বির আহমেদ, মো. রেজাউনুল ওরফে রাব্বী, মো. নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল ইসলাম।

যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন— মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম। জরিমানার পুরো টাকা সেই কলেজছাত্রীকে দেওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ওই মেয়ে রাজশাহীর একটি সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর কলেজে জরুরি কাজের কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. সাব্বির আহমেদ তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে সিংড়া পেট্রোবাংলা এলাকায় অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে অন্য আসামিসহ দুটি ভ্যান গাড়িতে করে বেড়ানোর কথা বলে উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামের দিকে নিয়ে যায়।

পরে সবাই মিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম মির্জাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে নিয়ে দফায় দফায় গণধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় এবং পুলিশ ও তার পরিবারকে খবর দেয়।

এ বিষয়ে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনের নামে মামলা করলে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নাসির নামে একজনকে খালাস এবং অপর ১০ জনকে দণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় মো. সাব্বির আহমেদ, রাজিবুল হাসান খালাসপ্রাপ্ত নাসির পলাতক ছিলেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নাজমুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় আইনজীবী রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

SBN

SBN

সিংড়ায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের ফাঁসি, চার জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৪:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

নাটোরের সিংড়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাটোর জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মো. সাব্বির আহমেদ, মো. রেজাউনুল ওরফে রাব্বী, মো. নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল ইসলাম।

যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন— মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম। জরিমানার পুরো টাকা সেই কলেজছাত্রীকে দেওয়ার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ওই মেয়ে রাজশাহীর একটি সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর কলেজে জরুরি কাজের কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. সাব্বির আহমেদ তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে সিংড়া পেট্রোবাংলা এলাকায় অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে অন্য আসামিসহ দুটি ভ্যান গাড়িতে করে বেড়ানোর কথা বলে উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামের দিকে নিয়ে যায়।

পরে সবাই মিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম মির্জাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে নিয়ে দফায় দফায় গণধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় এবং পুলিশ ও তার পরিবারকে খবর দেয়।

এ বিষয়ে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনের নামে মামলা করলে আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে নাসির নামে একজনকে খালাস এবং অপর ১০ জনকে দণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় মো. সাব্বির আহমেদ, রাজিবুল হাসান খালাসপ্রাপ্ত নাসির পলাতক ছিলেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নাজমুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় আইনজীবী রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।