ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রূপসায় ওয়ার্ড কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা Logo লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার, হাতীবান্ধায় আটক-২ Logo রূপসায় রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালায় দ্বিতীয় দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo আমাদের উচিৎ বন্ধুত্ব লালন করা : যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সি চিন পিং Logo চীনের অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে :‘ওয়াকিং ইন চায়না’ ইভেন্ট Logo সিএমজি রাশিয়া-চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতু তৈরি করেছে Logo মস্কোর ক্রেমলিনে সি-পুতিন বৈঠক Logo মায়ানমারে পাচারকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ৬ পাচারকারী আটক Logo পলাশবাড়ী এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুমিল্লায় জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সি চিন পিং ও আব্বাসের মধ্যে বৈঠক

তুহিনা: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বর্তমানে চীনে চারদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন। তিনি হলেন চলতি বছর চীন সফরে আসা প্রথম আরব শীর্ষনেতা। গত বুধবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা চীন-ফিলিস্তিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন। এসময় সি চিন পিং ‘তিনটি প্রস্তাব’ উত্থাপন করেছেন। এসব প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায্য লড়াইয়ে চীনের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে। তাই মিশরের ‘রিপাবলিক’ ও কাতারের ‘আল জাজিরা’সহ মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো এসব প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত চায় চুয়ান ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করেন। আর এপ্রিল মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি ও ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। আসলে ফিলিস্তিন -ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য চীন সব সময় চেষ্টা করেছে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্টের তিনটি প্রস্তাব ২০১৩ ও ২০১৭ সালে চীনের উত্থাপিত ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বর্তমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়াকে বেগবান করার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। চীনের ধারণায় ফিলিস্তিনি সমস্যার মৌলিক সমাধান হল ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা। আর এটাই হচ্ছে ‘দুই রাষ্ট্র নীতি’ এবং আরব শান্তি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

চীন মনে করছে, ফিলিস্তিনের অর্থনীতি ও জনগণের চাহিদা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের উন্নয়ন সহায়তা ও মানবিক সহায়তা বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ‘ডিপ্লোম্যাট’ চীনকে ‘সত্যিকারের নিরপেক্ষ’ বলে মত দিয়েছে।

একটি আরবি প্রবাদ বলে যে ‘বাস্তবতা সব সময় পরিবর্তন হয়’। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মতভেদ দূর করার প্রচেষ্টাকে বেগবান করতে চায় চীন। তা দু’দেশের উত্তেজনাকর ‘বাস্তবতা’ পরিবর্তন করার একটি প্রচেষ্টা।

চীন আশা করে, দু’দেশ চীনের উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব ভালোভাবে বিবেচনা করবে, রাজনৈতিক সাহস নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা পুনরায় শুরু করবে, এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে। কারণ সঠিক কাজ শুরু করতে কখনও দেরি করা উচিত নয়।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপসায় ওয়ার্ড কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা

SBN

SBN

সি চিন পিং ও আব্বাসের মধ্যে বৈঠক

আপডেট সময় ০৫:২০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

তুহিনা: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বর্তমানে চীনে চারদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন। তিনি হলেন চলতি বছর চীন সফরে আসা প্রথম আরব শীর্ষনেতা। গত বুধবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা চীন-ফিলিস্তিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন। এসময় সি চিন পিং ‘তিনটি প্রস্তাব’ উত্থাপন করেছেন। এসব প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায্য লড়াইয়ে চীনের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে। তাই মিশরের ‘রিপাবলিক’ ও কাতারের ‘আল জাজিরা’সহ মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলো এসব প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত চায় চুয়ান ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করেন। আর এপ্রিল মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি ও ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। আসলে ফিলিস্তিন -ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য চীন সব সময় চেষ্টা করেছে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্টের তিনটি প্রস্তাব ২০১৩ ও ২০১৭ সালে চীনের উত্থাপিত ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বর্তমান ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়াকে বেগবান করার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। চীনের ধারণায় ফিলিস্তিনি সমস্যার মৌলিক সমাধান হল ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা। আর এটাই হচ্ছে ‘দুই রাষ্ট্র নীতি’ এবং আরব শান্তি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

চীন মনে করছে, ফিলিস্তিনের অর্থনীতি ও জনগণের চাহিদা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের উন্নয়ন সহায়তা ও মানবিক সহায়তা বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ‘ডিপ্লোম্যাট’ চীনকে ‘সত্যিকারের নিরপেক্ষ’ বলে মত দিয়েছে।

একটি আরবি প্রবাদ বলে যে ‘বাস্তবতা সব সময় পরিবর্তন হয়’। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মতভেদ দূর করার প্রচেষ্টাকে বেগবান করতে চায় চীন। তা দু’দেশের উত্তেজনাকর ‘বাস্তবতা’ পরিবর্তন করার একটি প্রচেষ্টা।

চীন আশা করে, দু’দেশ চীনের উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব ভালোভাবে বিবেচনা করবে, রাজনৈতিক সাহস নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনা পুনরায় শুরু করবে, এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে। কারণ সঠিক কাজ শুরু করতে কখনও দেরি করা উচিত নয়।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।