
মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, কুমিল্লা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন এবং উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বের মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে আবাসিক হলসমূহও বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট একাধিক সদস্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদ উল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি নোটিশ তৈরি করছি। বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কমিটি গঠন করা হবে। একটা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার তদন্তের জন্য।
আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকেছে। শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এতে এখানে অন্যরকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সিন্ডিকেটের সিন্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন উপাচার্যের বিরুদ্ধে গেছে তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না।
তার প্রশাসনের সকল সহকর্মীরাই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তার পতন শুধুই সময়ের ব্যাপার। তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করেছেন।