ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ্য বালু উত্তোলনে ৪০ হাজার টাকার গাছ নষ্টের অভিযোগ

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ী বাবলুর বালু উত্তোলনে পার্শ্ব বর্তী জমিতে থাকা ইউক্যালিপটাস ও আম বাগানের প্রায় ২০টি গাছ গর্তে ধসে পড়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী একই গ্রামের মোকাদ্দেস আলী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলী তার ২ বিঘা জমিতে প্রায় ২ বছর আগে ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগান করেন। মোকাদ্দেসের জমির পাশে একই গ্রামের সাগর উদ্দিনের পুত্র বিবাদী বাবলুর রশিদ এর নিজস্ব জায়গা। সেখানে সে তার জায়গায় গর্ত করে রাতের আঁধারে অবৈধ্য পন্থায় বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করতেছেন। এতে তার গর্তের আকার বৃদ্ধি পেয়ে একই গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র মোকাদ্দেস আলী (৪৮) এর ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগান থাকা ২০টি ইউক্যালিপটাস গাছ ধসে পড়ে যায়। এতে মোকাদ্দেস আলীর প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে মোকাদ্দেস আলী ফুলবাড়ী থানায় একটা অভিযোগ দ্বায়ের করেন।

বাদী মোকাদ্দেস আলী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় তার চিকিতসার জন্য প্রায় ৬ মাস যাবত আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। গত মাসে দেশে এসে দেখি বাবলুর রশিদ অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে আমার ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালি গালাজ করে। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তার সাথে পেরে উঠতে না পারায় আমি সর্বশেষ গত ২৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখ বিবাদী বাবলুর সাথে সমাধানের কথা বলতে গেলে তিনি বিভিন্নভাবে আমাকে গালিগালাজ করেন। নিরুপায় হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছি।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের জমির পাশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার সব জমিতে বালু। আর এখানকার কিছু দুষ্ট লোকজন রাতের আঁধারে জমিতে গর্ত করে বালূ উত্তোলন করে বিক্রয় করে। সবার আগে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবৈধ্য বালু উত্তোলনে সব জমির মাটি গর্তে ধসে পড়বে।

এ বিষয়ে বিবাদী বাবলুর রশিদ বলেন, গত বছর বন্যার কারণে গর্তটি হয়েছে। বাদির সাথে আমার কথা হয়েছে আমি একটু সময় চেয়েছি। আমাকে একটু সময় দিলে গর্তটি বালুদিয়ে ভরাট করে দিবো।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ্য বালু উত্তোলনে ৪০ হাজার টাকার গাছ নষ্টের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ী বাবলুর বালু উত্তোলনে পার্শ্ব বর্তী জমিতে থাকা ইউক্যালিপটাস ও আম বাগানের প্রায় ২০টি গাছ গর্তে ধসে পড়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী একই গ্রামের মোকাদ্দেস আলী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলী তার ২ বিঘা জমিতে প্রায় ২ বছর আগে ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগান করেন। মোকাদ্দেসের জমির পাশে একই গ্রামের সাগর উদ্দিনের পুত্র বিবাদী বাবলুর রশিদ এর নিজস্ব জায়গা। সেখানে সে তার জায়গায় গর্ত করে রাতের আঁধারে অবৈধ্য পন্থায় বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করতেছেন। এতে তার গর্তের আকার বৃদ্ধি পেয়ে একই গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র মোকাদ্দেস আলী (৪৮) এর ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগান থাকা ২০টি ইউক্যালিপটাস গাছ ধসে পড়ে যায়। এতে মোকাদ্দেস আলীর প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে মোকাদ্দেস আলী ফুলবাড়ী থানায় একটা অভিযোগ দ্বায়ের করেন।

বাদী মোকাদ্দেস আলী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় তার চিকিতসার জন্য প্রায় ৬ মাস যাবত আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। গত মাসে দেশে এসে দেখি বাবলুর রশিদ অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে আমার ইউক্যালিপটাস ও আমের বাগানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালি গালাজ করে। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তার সাথে পেরে উঠতে না পারায় আমি সর্বশেষ গত ২৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখ বিবাদী বাবলুর সাথে সমাধানের কথা বলতে গেলে তিনি বিভিন্নভাবে আমাকে গালিগালাজ করেন। নিরুপায় হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছি।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের জমির পাশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার সব জমিতে বালু। আর এখানকার কিছু দুষ্ট লোকজন রাতের আঁধারে জমিতে গর্ত করে বালূ উত্তোলন করে বিক্রয় করে। সবার আগে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবৈধ্য বালু উত্তোলনে সব জমির মাটি গর্তে ধসে পড়বে।

এ বিষয়ে বিবাদী বাবলুর রশিদ বলেন, গত বছর বন্যার কারণে গর্তটি হয়েছে। বাদির সাথে আমার কথা হয়েছে আমি একটু সময় চেয়েছি। আমাকে একটু সময় দিলে গর্তটি বালুদিয়ে ভরাট করে দিবো।

অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।