ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বেইজিংয়ে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান Logo ন্যায়, শান্তি ও বিজয়ের বার্তা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo কুচকাওয়াজ ও যুদ্ধবিমানের শট দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে সিএমজি’র অনুষ্ঠান Logo একতরফাবাদ নয়, অভিন্ন উন্নয়নের ডাক দিল সি চিন পিং Logo বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে একসাথে এগোবে চীন-ইন্দোনেশিয়া Logo শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন চীনা আধুনিকায়নের মূল ভিত্তি: প্রেসিডেন্ট সি Logo রাঙ্গামাটিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত Logo বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু Logo অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদসকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে রাজকীয় বিদায় Logo সরাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত ৩০

অভয়নগরে চাল সংগ্রহে গড়িমিসি : লক্ষ‍্যমাত্রা অর্জনে সংশয়

উৎপল ঘোষ, যশোরঃ যশোর অভয়নগর উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ‍্যমাত্রা পূরণে গড়িমিসি হচ্ছেন খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা। সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো মিল মালিক চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় পুণরায় সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।কোন মিলমালিককে চাল সরবরাহের চুক্তিপত্রে আবদ্ধ করা যায়নি। ফলে চলতি মৌসুমে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, সরকার নির্ধারিত চালের মূল্য থেকে বাজার মূল্য বেশি থাকায় সারাদেশে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে চালকল মালিকদের সাথে চুক্তির মেয়াদ ইতোমধ্যে একদফা বাড়িয়েছে সরকার। পূর্বে চাল সংগ্রহের চুক্তির সময়সীমা ১৭ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করলেও পরবর্তীতে তা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু বর্ধিত সময় শেষ। উপজেলার কোনো চালকল এখনও চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

সূত্র জানায়, গত ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যানন্দ কুন্ডু অভয়নগর উপজেলা খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ তরান্বিত করতে মিল মালিকদের সাথে জররুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে উপজেলার ২১টি চালকলের মালিকগণ বৈঠকে উপস্থিত হন এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তাদেরকে দ্রুত চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবব্ধ হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালকল মালিক জানিয়েছেন, বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত চালের মূল্য কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা কম। এই দরে চাল দিলে তারা চরম লোকসানের মুখে পড়বেন। যে কারণে তার গুদামে চাল সরবরাহে অনিহা প্রকাশ করেছেন।

নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২ হাজার ৯শ’ ২০ মেট্টিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ চলমান থাকবে। তবে এখনও এক কেজি চালও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এবং কোন চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) অসিম কুমার বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের পার্থক্যের কথা স্বীকার করে বলেন, তবুও আমরা মিল মালিকদের সাথে আলোচনাপূর্বক চাল সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি দ্রুতই মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি নীতিমালা মেনেই চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেইজিংয়ে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান

SBN

SBN

অভয়নগরে চাল সংগ্রহে গড়িমিসি : লক্ষ‍্যমাত্রা অর্জনে সংশয়

আপডেট সময় ০৪:১৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

উৎপল ঘোষ, যশোরঃ যশোর অভয়নগর উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ‍্যমাত্রা পূরণে গড়িমিসি হচ্ছেন খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা। সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো মিল মালিক চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় পুণরায় সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।কোন মিলমালিককে চাল সরবরাহের চুক্তিপত্রে আবদ্ধ করা যায়নি। ফলে চলতি মৌসুমে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, সরকার নির্ধারিত চালের মূল্য থেকে বাজার মূল্য বেশি থাকায় সারাদেশে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে চালকল মালিকদের সাথে চুক্তির মেয়াদ ইতোমধ্যে একদফা বাড়িয়েছে সরকার। পূর্বে চাল সংগ্রহের চুক্তির সময়সীমা ১৭ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করলেও পরবর্তীতে তা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু বর্ধিত সময় শেষ। উপজেলার কোনো চালকল এখনও চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

সূত্র জানায়, গত ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যানন্দ কুন্ডু অভয়নগর উপজেলা খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ তরান্বিত করতে মিল মালিকদের সাথে জররুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে উপজেলার ২১টি চালকলের মালিকগণ বৈঠকে উপস্থিত হন এবং সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তাদেরকে দ্রুত চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবব্ধ হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালকল মালিক জানিয়েছেন, বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত চালের মূল্য কেজি প্রতি ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা কম। এই দরে চাল দিলে তারা চরম লোকসানের মুখে পড়বেন। যে কারণে তার গুদামে চাল সরবরাহে অনিহা প্রকাশ করেছেন।

নওয়াপাড়া খাদ্য গুদাম সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২ হাজার ৯শ’ ২০ মেট্টিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ চলমান থাকবে। তবে এখনও এক কেজি চালও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এবং কোন চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়নি।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) অসিম কুমার বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের পার্থক্যের কথা স্বীকার করে বলেন, তবুও আমরা মিল মালিকদের সাথে আলোচনাপূর্বক চাল সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি দ্রুতই মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি নীতিমালা মেনেই চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হবে।