স্টাফ রিপোর্টারঃ অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে ডা. যোবায়ের হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল চ্যাটিং, ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
সে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ নুরুল আমিনের ছেলে। সে স্থানীয় আড্ডা বাজারে ডা. জোবায়ের প্যাথলজি সেন্টারের মালিক। সেটির কোনো অনুমতি নেই বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার আসামির ডা. জোবায়ের আহমেদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মামলা সংক্রান্ত ইনস্ট্রাগ্রাম আইডি জব্দ করা হয়েছে।
সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেনিস্টগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোয়েন্দা তৎপরতার পরিচালনার মাধ্যমে ইনস্ট্রাগ্রাম আইডির মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করেছে। ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সিটিটিসি জানায়, আসামী মামলার বাদীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও নিয়ে তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে মামলার বাদী যখন জানতে পারেন যে আসামী বিবাহিত ও তার সন্তান আছে, তার সঙ্গে আসামি সম্পর্ক ছিন্ন করে। আসামী এরপর ধারণ করে রাখা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইনস্ট্রাগ্রাম আইডির মাধ্যমে বাদীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে।
এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় জোবায়েরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় জোবায়েরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
সুরঞ্জনা সাহা বলেন, জোবায়েরের বিরুদ্ধে এক নারীর গায়ে হাত দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সিলেটে একটি মামলা রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন নারী রুগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ডা. জোবায়ের।
জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় ৬টি (ছয়) জিটি (সাধারণ ডায়েরি) রয়েছে।