এম.ডি.এন.মাইকেল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বৃক্ষ নিধন আইন ২০২২ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড এর নতুন মিনিস্টার বাড়ি সংলগ্ন মেহগনি বাগান নামে পরিচিত স্থানে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো মেহগনি ও রেন্ডি গাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জাহাঙ্গীর শিকদার নামে জানি বৃক্ষ নিধনকারী বিরুদ্ধে।অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় পূর্ব শক্ততার জের ধরে ভান্ডারিয়া বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও এডভোকেট মরহুম আব্দুল হাই শিকদারের মায়ের নামের জমির উপর পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রায় একশোর উপরে মেহগনিও রেন্ডি গাছের চারা রোপন করেন।
কিন্তু বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদারের বৃক্ষ নিধনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো বৃক্ষগুলো।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এর আগেও জাহাঙ্গীর শিকদারের বিরুদ্ধে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগে পিরোজপুর কোটে একটি মামলা হয় বর্তমানে উক্ত মামলাটি পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন (মামলা নং-৯৮/২০২৪)।অনুসন্ধানে গিয়ে অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদার একজন পেশাদার বৃক্ষ নিধনকারী সে অন্যের জমির উপর লাগানো গাছ কেটে নেওয়ার ওস্তাদ।এমনকি জাহাঙ্গীর শিকদার অতীতেও প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বৃক্ষ নিধন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকার বহু মানুষের গাছ কেটে নিয়েছেন। এবং উক্ত জমিতে আমার বাবা মরহুম আব্দুল হাই শিকদার ১৯৯৩ সালে এই মেহগনিও রেন্ডি গাছগুলো লাগিয়েছিলেন এবং বিএস রেকর্ডে এখনো জায়গার মালিক আমরা কিন্তু জাহাঙ্গীর শিকদার উক্ত জমি নিজের বলে দাবি করে এই ৩০ বছরের পুরনো গাছগুলো কেটে ফেলে।
অভিযোগকারীরা আরো বলেন যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আইন করেছে কারো নিজের লাগানো পুরনো গাছ কাটতে হলেও প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া ছাড়া কাটতে পারবে না।যদি কেউ সে আইন অমান্য করে তাহলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জেলের বিধান রেখে ২০২২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়।অনুসন্ধানকালে ভান্ডারিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় জাহাঙ্গীর শিকদার মরহুম আব্দুল হাই শিকদারের লাগানো ৩০ বছরের পুরনো যেই মেহগনিও রেন্ডি কাজগুলো নিধন করে নিয়েছে তার মালিক কিন্তু জাহাঙ্গীর শিকদার নয়।মরহুম আব্দুল হাই শিকদারের তিন ছেলে পলাশ শিকদার,শাহীন শিকদার,শামিম শিকদার তারা চাকরির সুবাদে ঢাকা থাকার সুযোগে বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদার ৩০ বছরের পুরনো গাছগুলো কাটতে সক্ষম হয়।
আমরা এলাকাবাসীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এমনকি এই পুরনো গাছগুলো নিধনের কারণে আমরা এলাকাবাসী জাহাঙ্গীর শিকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।প্রথম ধাপের অনুসন্ধান শেষে অভিযুক্ত বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদারের মুঠোফোনে ৩০ বছরের পুরনো বৃক্ষ নিধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন গাছ কাটতে আবার অনুমোদন কিসের? জাহাঙ্গীর শিকদারের এমন উত্তরে প্রতিবেদক তাকে স্মরণ করিয়ে দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন ২০২২ এ স্পষ্ট আকারে উল্লেখ করা আছে কোন ব্যক্তি তার নিজের লাগানো বৃক্ষ/গাছ প্রশাসনের অনুমোদন ব্যতীত কাটতে পারবে না।যদি কোন ব্যক্তি উক্ত আইন অমান্য করে বৃক্ষ/গাছ নিধন করে তা হলে উক্ত ব্যক্তির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জেলের বিধান রয়েছে,আর আপনি তো অন্যের জায়গায় অন্যের লাগানো ৩০ বছরের পুরনো বৃক্ষ/গাছ কারো অনুমতি না নিয়েই নিধন করেছেন তা কি অন্যায় নয়? উত্তরে জাহাঙ্গীর শিকদার প্রতিবেদককে বলেন আমি কার থেকে অনুমোদন নিব এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে!
সাংবাদিক শুনেন আপনি আপনার আইন নিয়ে থাকেন, আপনি আর এই ব্যপারে আমার সাথে কোন কথা বলবেন না এই বলে তিনি মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে ঘণ্টার চারেক পরে জুয়েল নামে জনৈত ব্যক্তি প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকে দিয়ে থাকেন। প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া জনৈক জুয়েল এর ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় জুয়েল হচ্ছে বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদারের মেয়ের জামাই। জামাই জুয়েল একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষকতা করেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বৃক্ষ নিধনকারী জাহাঙ্গীর শিকদার ও তার ছোট মেয়ের জামাই এর অনুসন্ধান চলমান,,,,,