
ষ্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রামের ফিরোজশাহ্ এলাকার পশ্চিম ফিরোজশাহ্ হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদ নিয়ে একটি চিহ্নিত মহল নিয়মিত মুসল্লীদের বাইরে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীপন্থী অচেনা লোকজনকে অন্তর্ভূক্ত করে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে বিতর্কিত পন্থায় নির্বাচন ও পরিচালনা কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছে মর্মে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
# ভোটার তালিকায় অচেনা লোকের অন্তর্ভূক্তি।
# জায়গা এবং ফ্লাট মালিকদের মধ্যে একটা বিভেদ তৈরির চেষ্টা।
ইতোমধ্যে কুচক্রী মহলটি নির্বাচনের তারিখ আগামী ১৮ এপ্রিল শুক্রবারও নির্ধারণ করে নিয়েছে।
একাধিক মুসল্লি এবং এলাকাবাসী হঠাৎ করে নোটিশবোর্ডে টানানো নোটিশের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পূর্বে প্রতি লেনে দু’জন বা একজনকে সিলেকশন করে দিতেন এবং তা অনুমোদনের জন্য লাইন কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের স্বাক্ষর নেয়া হতো। কিন্তু এবার ইলেকশন হওয়া স্বত্বেও কতিপয় চিহ্নিত ভূমি মালিকদের ভোটার করা হয়েছে। পাশর্^বর্তী গ্রিন টাওয়ার এবং ফ্ল্যাট মালিকরা নানানভাবে মসজিদের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করলেও তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে মসজীদ বিমূখী করে কায়েমী স্বার্থ হাসিলে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ তালিকা করা হয়েছে।
জানা যায়, ভোটার লিস্টে এমন সব লোকজনকে নেয়া হয়েচে যারা এ মসজিদে নামাজ পড়েনা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যেবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্তের দাগ শুকানোর পূর্বেই শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করে যাচেছ। যেখানে মসজিদও তাদের খপ্পর থেকে বাদ পড়েনি। এই বিশেষ গোষ্ঠী লিখিতভাবে মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি এবং সর্বদা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ফ্লাট মালিকদের এই নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে বাদ দিয়ে জায়গা এবং ফ্লাট মালিকদের মধ্যে একটা বিভেদ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভেদ তৈরির মাধ্যমে এলাকার একতা ও শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা নষ্ট করে এলাকাকে সর্বদা অস্থিতিশীল রেখে নিজেদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল এর পাঁয়তারা করছে মাত্র।
প্রশ্ন উঠেছে, ১.১.২০২৩ তারিখে মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়া কার্যকরী কমিটি কিভাবে,কোন আইনে এবং কোন গঠনতন্ত্র অনুসারে ৩১.০৩.২৫ তারিখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে? যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন আইন অনুযায়ী হয়নি তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না- এটা এলাকার শান্তি বিনষ্ট করে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার নামান্তর মাত্র।
কোন উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে চলতি বছরের ৩১ মার্চ মিটিং এর মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হলো এবং কোন বিশেষ কারণে দ্রুত তফসিল ঘোষণা করে ১৮/০৪/২৫ এর মধ্যে নির্বাচন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে? এখানে নিয়ম অনুযায়ী এলাকার সাধারণ মুসুল্লিদের মতামত ও অংশগ্রহণ ফ্যাসিস্টদের মতো অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের মতো করে যথাযথ সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি করে সাজানো নির্বাচন এর ব্যবস্থা করে চিহ্নিত বিশেষ গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় বসিয়ে এলাকার শান্তি বিনষ্টের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রশ্ন উঠেছে, ফ্যাসিস্ট আমলের কার্যকরী কমিটি ১.১.২৩ইং-এ বৈধতা হারিয়েছে। তাহলে কোন গঠনতন্ত্রের আলোকে এবং কাকে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে সভাপতি এককভাবে ০১.০৪.২৫ তারিখে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনে স্বাক্ষর করলেন?
সাবর্জনীনভাবে মুসল্লীদের সাথে আলাপ আলোচনা এবং তাদের মতামত ছাড়া এই কমিটি মনগড়াভাবে নির্বাচন যোগ্যতা ভোটার যোগ্যতা ইত্যাদি নিরূপন করেছে। কিন্তু সময় নিয়ে সবার মতামত এর আলোকে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে নতুনভাবে রাষ্ট্রসহ সব জায়গার মতো সংস্কার করে একটা সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা কেন নেয়া হচ্ছেনা ? চিহ্নিত বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই কি এই পদক্ষেপ?
বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর এবং কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয়দাতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরীর হীন উদ্দেশ্যে এলাকাবাসীর সঠিক প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই তড়িঘড়ি ও যেনতেন সাজানো নির্বাচন এর মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন এর পাঁয়তারার বিষয়টি দিবালোকের মতোই পরিস্কার।
বিগত ফ্যাসিবাদের এবং কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা চিহ্নিত দোসররা এই পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন করে সরকারি জায়গায় অবস্থিত মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এর অবৈধ সুবিধা গ্রহণ এবং চলমান ওয়াকফ অনুমোদন এর কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে চাইছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।
এলাকাবাসী ও মুসল্লীদের একটাই কথা মসজিদের নিয়মিত মুসল্লীরাই ঠিক করবে মসজিদ কে পরিচালনা করবে। ভোটার লিস্ট হালনাগাদ করে প্রত্যেক ভূমি মালিক, ফ্ল্যাট মালিক ও গ্রীন টাওয়ারসহ নতুন করে মসজিদ মুসল্লিকেন্দ্রীক নতুন ভোটার লিস্ট করে মসজিদের প্রকৃত উন্নয়ন ষড়যন্ত্র বিহিন বৈষম্যহীন সমাজ গঠন তাদের একমাত্র দাবী।