ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি Logo বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন Logo গাইবান্ধায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo দুর্নীতির দায়ে ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যানে পদ শূন্য ঘোষণা

আক্কাস মিয়ার চায়ের দোকান

এক চিলতে খালের পাশেই
অনেক পুরনো একটা তেঁতুল গাছ
কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে,
ক্লান্ত পথিক, কাঠ ফাটা রোদে মাঠের মুজুর আর মমতাজ মিয়ার মতো শেষ বয়সী রিক্সা ওয়ালারা তার ছায়ায় বসে প্রতিদিন বিশ্রাম নেয়,
তারই গা ঘেসে আক্কাসের চা দোকান
অভাবী সংসারের একমাত্র অবলম্বন।

সুপারি গাছ দিয়ে নিপুন হাতে বানানো বসার জায়গাটা সত্যিই বড়ো পরিপাটি ও আরামদায়কই নয়
বরং
অজপাড়াগাঁয়ের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার ও বটে,
সকাল সন্ধ্যা বলে কোনো কথা নেই
রাতবিরাতে ঝড় বৃষ্টিতে আক্কাসের উনুনে চায়ের কেটলি গরম থাকবেই,
আর কোথাও চা না মিললেও এখানে বিমুখ হওয়ার কোনো কারণ নেই,
ভেঁপসা গরমে চাঁদি রাতে গল্পের আসর জমে গল্প হয় দেশ ভাগ, নোয়াখালীর রায়ট, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, আরো কতোকি নিয়ে।

আক্কাস মিয়ার চায়ের দোকান অনেকটা মধুর কেন্টিনের মতো
আলাপচারিতা আর গল্পে উদয়াস্ত প্রাণবন্ত হয়ে থাকে,
আক্কাসের চায়ের দোকান
সে এক জীবন্ত পাঠশালা,
নিয়মকানুনের বালাই নেই
লুঙ্গির কাঁচায় কিংবা গামছায় কয়েকটা টাকা গুঁজে নিয়ে সব বয়সি পড়ুয়ারা চলে আসে প্রতিদিন,
গল্প করে, রাজনীতি করে আরো কতোকি,
এই সব পাঠ নিয়ে মেতে থাকে
এই নিয়মের ব্যত্যয় হতে দেখিনি কোনোদিন।

(আগরতলা ০৯/০৩/২৩)

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব

SBN

SBN

আক্কাস মিয়ার চায়ের দোকান

আপডেট সময় ০৫:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

এক চিলতে খালের পাশেই
অনেক পুরনো একটা তেঁতুল গাছ
কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে,
ক্লান্ত পথিক, কাঠ ফাটা রোদে মাঠের মুজুর আর মমতাজ মিয়ার মতো শেষ বয়সী রিক্সা ওয়ালারা তার ছায়ায় বসে প্রতিদিন বিশ্রাম নেয়,
তারই গা ঘেসে আক্কাসের চা দোকান
অভাবী সংসারের একমাত্র অবলম্বন।

সুপারি গাছ দিয়ে নিপুন হাতে বানানো বসার জায়গাটা সত্যিই বড়ো পরিপাটি ও আরামদায়কই নয়
বরং
অজপাড়াগাঁয়ের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার ও বটে,
সকাল সন্ধ্যা বলে কোনো কথা নেই
রাতবিরাতে ঝড় বৃষ্টিতে আক্কাসের উনুনে চায়ের কেটলি গরম থাকবেই,
আর কোথাও চা না মিললেও এখানে বিমুখ হওয়ার কোনো কারণ নেই,
ভেঁপসা গরমে চাঁদি রাতে গল্পের আসর জমে গল্প হয় দেশ ভাগ, নোয়াখালীর রায়ট, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, আরো কতোকি নিয়ে।

আক্কাস মিয়ার চায়ের দোকান অনেকটা মধুর কেন্টিনের মতো
আলাপচারিতা আর গল্পে উদয়াস্ত প্রাণবন্ত হয়ে থাকে,
আক্কাসের চায়ের দোকান
সে এক জীবন্ত পাঠশালা,
নিয়মকানুনের বালাই নেই
লুঙ্গির কাঁচায় কিংবা গামছায় কয়েকটা টাকা গুঁজে নিয়ে সব বয়সি পড়ুয়ারা চলে আসে প্রতিদিন,
গল্প করে, রাজনীতি করে আরো কতোকি,
এই সব পাঠ নিয়ে মেতে থাকে
এই নিয়মের ব্যত্যয় হতে দেখিনি কোনোদিন।

(আগরতলা ০৯/০৩/২৩)