ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম Logo চিন পিংয়ের প্রিয় উপাখ্যান’: ইতিহাসের গভীর জ্ঞানের এক উজ্জ্বল প্রকাশ Logo মালয়েশিয়া-চীন সম্পর্কের উচ্চ স্তরের প্রতিফলন : রাজা ইব্রাহিম Logo কুয়ালালামপুরে চীন-মালয়েশিয়া মানব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠান Logo ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অর্থনীতির অঞ্চল বাতিল ঘোষণার প্রসঙ্গে Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক-২ Logo বুড়িচংয়ে তিন জুয়ারীর ৭ দিনের জেল Logo প্রেমের টানে ভাগ্নের হাত ধরে মামী উধাও

আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করলো চীন-জার্মানি

  • শিশির:
  • আপডেট সময় ০২:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

তিনজন মন্ত্রী নিয়ে, তিন দিনে, চীনের তিনটি শহর সফর করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। সিমেন্স, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জসহ জার্মানির কিছু বড় কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও তাঁর সফরদলে রয়েছেন। শোলজের এ সফর সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা তথ্যমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

১৬ এপ্রিল শোলজ সফরের শেষ দিনে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠকে মিলিত হন। দু’নেতা চীন-জার্মানি সম্পর্কের অবস্থা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উত্তেজনাকর ইস্যু নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও জার্মানির মধ্যে মৌলিক স্বার্থ জড়িত বিষয়ে কোনো বিরোধ নেই এবং দেশ দু’টি পরস্পরের নিরাপত্তা হুমকি নয়। দু’পক্ষের সহযোগিতা কোন ঝুঁকি সৃষ্টি করবে না বরং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নিশ্চয়তা ও সুযোগ বয়ে আনবে। দু’পক্ষ একমত হয়েছে যে, অবাধ বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিশ্বায়ন সমর্থন এবং একসাথে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায় দু’দেশ।

এ থেকে বোঝা যায়, চীন ও জার্মানি নানা ক্ষেত্রে অভিন্ন অবস্থান পোষণ করে এবং একসাথে কাজ করলে বিশ্বে আরও স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা বয়ে আতে পারবে।
চলতি বছর পালিত হচ্ছে চীন-জার্মানি সার্বিক কৌশলগত অংশিদারিত্বের সম্পর্কের দশম বার্ষিকী এবং দীর্ঘসময়ে চীন-জার্মানি সম্পর্ক চীন ও পাশ্চাত্যের বড় দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে। দু’দেশের নেতারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন, দু’সরকারের মধ্যে বৈঠক এবং কৌশলগত, আর্থিকসহ নানা ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ কার্যকরভাবে বজায় রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূরাজনীতির পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং চীন-জার্মানি সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এবার শোলজের সফর নিয়েও অনেক শোরগোল শোনা যায়। চীনকে দমন করার মার্কিন নীতির প্রভাবে ইউরোপ এমনকি জার্মানিতেও চীনা ‘উন্নয়ন হুমকি’র কথা শোনা যায়। ইইউ ঝুঁকি দূর করার অজুহাতে চীনের বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। ইউরোপের কিছু তথ্যমাধ্যম বলে, চীনের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে হবে জার্মানিকে।

তবে, শোলজের চীন সফর এবং জার্মান কোম্পানির মনোভাব আমদেরকে দেখিয়েছে যে, চীন-জার্মানি সম্পর্কের ভিত্তি স্থিতশীল হয়েছে এবং চীন সম্পর্কে জার্মান সরকারের নীতি মোটামোটি বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত। জার্মানির কিছু তথ্যমাধ্যম মনে করে, নিজ অর্থনীতির অবনতি ও ইউক্রেন সংকট মোকাবিলা করতে জার্মানিকে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।

চীন-জার্মানি সহযোগিতা দু’দেশ ও বিশ্বের জন্য অনুকূল। বিশ্ব যত বেশি অশান্ত হবে, ততই চীন এবং জার্মানিকে তাদের সম্পর্কের স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রাণশক্তি বাড়াতে হবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার

SBN

SBN

আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করলো চীন-জার্মানি

আপডেট সময় ০২:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

তিনজন মন্ত্রী নিয়ে, তিন দিনে, চীনের তিনটি শহর সফর করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। সিমেন্স, বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জসহ জার্মানির কিছু বড় কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও তাঁর সফরদলে রয়েছেন। শোলজের এ সফর সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা তথ্যমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

১৬ এপ্রিল শোলজ সফরের শেষ দিনে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠকে মিলিত হন। দু’নেতা চীন-জার্মানি সম্পর্কের অবস্থা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উত্তেজনাকর ইস্যু নিয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও জার্মানির মধ্যে মৌলিক স্বার্থ জড়িত বিষয়ে কোনো বিরোধ নেই এবং দেশ দু’টি পরস্পরের নিরাপত্তা হুমকি নয়। দু’পক্ষের সহযোগিতা কোন ঝুঁকি সৃষ্টি করবে না বরং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নিশ্চয়তা ও সুযোগ বয়ে আনবে। দু’পক্ষ একমত হয়েছে যে, অবাধ বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিশ্বায়ন সমর্থন এবং একসাথে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায় দু’দেশ।

এ থেকে বোঝা যায়, চীন ও জার্মানি নানা ক্ষেত্রে অভিন্ন অবস্থান পোষণ করে এবং একসাথে কাজ করলে বিশ্বে আরও স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা বয়ে আতে পারবে।
চলতি বছর পালিত হচ্ছে চীন-জার্মানি সার্বিক কৌশলগত অংশিদারিত্বের সম্পর্কের দশম বার্ষিকী এবং দীর্ঘসময়ে চীন-জার্মানি সম্পর্ক চীন ও পাশ্চাত্যের বড় দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে। দু’দেশের নেতারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন, দু’সরকারের মধ্যে বৈঠক এবং কৌশলগত, আর্থিকসহ নানা ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ কার্যকরভাবে বজায় রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূরাজনীতির পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে এবং চীন-জার্মানি সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এবার শোলজের সফর নিয়েও অনেক শোরগোল শোনা যায়। চীনকে দমন করার মার্কিন নীতির প্রভাবে ইউরোপ এমনকি জার্মানিতেও চীনা ‘উন্নয়ন হুমকি’র কথা শোনা যায়। ইইউ ঝুঁকি দূর করার অজুহাতে চীনের বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। ইউরোপের কিছু তথ্যমাধ্যম বলে, চীনের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে হবে জার্মানিকে।

তবে, শোলজের চীন সফর এবং জার্মান কোম্পানির মনোভাব আমদেরকে দেখিয়েছে যে, চীন-জার্মানি সম্পর্কের ভিত্তি স্থিতশীল হয়েছে এবং চীন সম্পর্কে জার্মান সরকারের নীতি মোটামোটি বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত। জার্মানির কিছু তথ্যমাধ্যম মনে করে, নিজ অর্থনীতির অবনতি ও ইউক্রেন সংকট মোকাবিলা করতে জার্মানিকে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।

চীন-জার্মানি সহযোগিতা দু’দেশ ও বিশ্বের জন্য অনুকূল। বিশ্ব যত বেশি অশান্ত হবে, ততই চীন এবং জার্মানিকে তাদের সম্পর্কের স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রাণশক্তি বাড়াতে হবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।