ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড Logo বরুড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মহিলা দলের আলোচনা সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন (পর্ব-২)

আমি নামমাত্র প্রকল্প সভাপতি, সব কাজের দেখভাল করেন চেয়ারম্যান

মোঃ কামরুজ্জামান সেন্টু

চাঁদপুরের শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মাহমুদ আলম প্রকল্প সভাপতির দায়িত্বে থেকে কোন কাজ না করেই পুরো প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেন। স্থানীয়দের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ইউপি সদস্য মাহমুদ আলম।

তিনি জানান, আমি নামমাত্র (কাগজপত্রে) প্রকল্প সভাপতি। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের দেখভাল করেন রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক। তিনি যেখানে যে কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন আমি সেখানেই স্বাক্ষর দিয়েছি।

প্রকল্প সভাপতি হয়ে কাজের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই। তিনি কিভাবে বরাদ্ধের অর্থ উত্তোলন করেন, সেটি তিনি-ই ভালো জানেন। যে প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ করা হয়েছে- ওই প্রকল্পের কাজের জন্য চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন। যা বরাদ্ধকৃত কাজের তুলনায় একেবারে সামান্য। স্থানীয়রা আমাকে এ বিষয়ে একাধিকবার জিজ্ঞেস করলেও আমি তাদের সদোত্তর দিতে পারিনি। স্থানীয়দের বিষয়টি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাককে জানালে তিনি কর্নপাত করেননি।

প্রকল্পের পুর্নাঙ্গ বরাদ্ধ না পেলে নিজ পকেট থেকে কাজ করা সম্ভব নয়।
রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক জানান, ইউপি সদস্য মাহমুদ আলম অবান্তর কথা বলছেন। একটি প্রকল্পের সভাপতি-ই প্রকল্পের সবকিছু। এখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রকল্প সভাপতি প্রয়োজনীয় সকল স্থানে নিজে স্বাক্ষর করা ছাড়া বিল অন্য কারো উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনি নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।

রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ইউপি সদস্য জানান, আমরা এ প্রকল্পের বিষয়ে অবগত। প্রকল্প সভাপতি মাহমুদকে বার বার চেয়ারম্যান সহ আমরা কাজের জন্য তাগিদ দিলেও তিনি কাজটি করেননি। তিনি কোন ভাবেই এ কাজের দায় এড়াতে পারেন না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ সবুজ জানান, আমি একা চাইলেও সকল কাজের তদারকি করা সম্ভব হয় না।

উল্লেখ্য যোগ্য প্রকল্প ছাড়া বাকি কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যান তদারকি করেন। এই প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলনের বিষয়টি আমি কোনভাবেই অবগত নই। কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। প্রকল্পের অর্থ ফেরত অথবা কাজ করে দিতে হবে। বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করেছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি

SBN

SBN

শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন (পর্ব-২)

আমি নামমাত্র প্রকল্প সভাপতি, সব কাজের দেখভাল করেন চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ১০:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোঃ কামরুজ্জামান সেন্টু

চাঁদপুরের শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মাহমুদ আলম প্রকল্প সভাপতির দায়িত্বে থেকে কোন কাজ না করেই পুরো প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেন। স্থানীয়দের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ইউপি সদস্য মাহমুদ আলম।

তিনি জানান, আমি নামমাত্র (কাগজপত্রে) প্রকল্প সভাপতি। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের দেখভাল করেন রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক। তিনি যেখানে যে কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন আমি সেখানেই স্বাক্ষর দিয়েছি।

প্রকল্প সভাপতি হয়ে কাজের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই। তিনি কিভাবে বরাদ্ধের অর্থ উত্তোলন করেন, সেটি তিনি-ই ভালো জানেন। যে প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ করা হয়েছে- ওই প্রকল্পের কাজের জন্য চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন। যা বরাদ্ধকৃত কাজের তুলনায় একেবারে সামান্য। স্থানীয়রা আমাকে এ বিষয়ে একাধিকবার জিজ্ঞেস করলেও আমি তাদের সদোত্তর দিতে পারিনি। স্থানীয়দের বিষয়টি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাককে জানালে তিনি কর্নপাত করেননি।

প্রকল্পের পুর্নাঙ্গ বরাদ্ধ না পেলে নিজ পকেট থেকে কাজ করা সম্ভব নয়।
রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক জানান, ইউপি সদস্য মাহমুদ আলম অবান্তর কথা বলছেন। একটি প্রকল্পের সভাপতি-ই প্রকল্পের সবকিছু। এখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রকল্প সভাপতি প্রয়োজনীয় সকল স্থানে নিজে স্বাক্ষর করা ছাড়া বিল অন্য কারো উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনি নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।

রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ইউপি সদস্য জানান, আমরা এ প্রকল্পের বিষয়ে অবগত। প্রকল্প সভাপতি মাহমুদকে বার বার চেয়ারম্যান সহ আমরা কাজের জন্য তাগিদ দিলেও তিনি কাজটি করেননি। তিনি কোন ভাবেই এ কাজের দায় এড়াতে পারেন না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ সবুজ জানান, আমি একা চাইলেও সকল কাজের তদারকি করা সম্ভব হয় না।

উল্লেখ্য যোগ্য প্রকল্প ছাড়া বাকি কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যান তদারকি করেন। এই প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলনের বিষয়টি আমি কোনভাবেই অবগত নই। কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। প্রকল্পের অর্থ ফেরত অথবা কাজ করে দিতে হবে। বিষয়টি আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করেছি।