
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনৈক মুখপাত্র ২৩ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বিনিয়োগ নীতিমালা সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মার্কিন আচরণ জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণ ও বৈষম্যমূলক। এই নীতি বাজার-অর্থনীতির বিরুদ্ধে যাবে এবং দুই দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।
মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগের ওপর মার্কিন প্রশাসন নিরাপত্তা পর্যালোচনা জোরদার করায়, চীনা কোম্পানিগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের আস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে বিনিয়োগের জন্য চীনা কোম্পানিগুলোকে একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ, স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদান করবে।
তিনি বলেন, চীনে মার্কিন বিনিয়োগের ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ খুবই অযৌক্তিক হবে। এসব ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে, দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ খাতে বিনিময় বাধাগ্রস্ত হবে এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে না। অনেক আমেরিকান ব্যবসায়িক সংগঠন ও কোম্পানি ইতোমধ্যেই জানিয়েছে যে, চীনে মার্কিন বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে, তারা চীনা বাজারকে অন্যান্য প্রতিযোগীদের জন্য ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে।
মুখপাত্র আরও বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নিয়ম মেনে চলতে, বাজারের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাকে সম্মান করতে, এবং আর্থ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে তাগিদ দেয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিজের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইট ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বিনিয়োগ নীতিমালা প্রকাশ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ঘোষণা দেয়। চীনের সাথে দ্বিমুখী বিনিয়োগকে আরও সীমাবদ্ধ করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়।
সূত্র: লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।