নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা নামে এখানে
তেলতেলে বালিশে শিশুরা ঘুমায় মায়ের বুক জুড়ে
অকৃতিম স্নেহ ও আদরমাখা অন্ধকারে আগামীর স্বপ্ন রচিত হয় নিভৃতে,
খড়কুটার কুসুম কুসুম উত্তাপে শীতের মোকাবেলা
নিরন্ন নিরুপায় মানুষের এ এক ভিন্ন পৃথিবী,
প্রাণবন্ত এ শহরে রাত্রি ঘনায়
প্রাণহীন মানুষেরা পশুত্বের লীলায় মেতে উঠে
ঘৃণা ও নির্লজ্জ এ সকল প্রাণীদের থেকে আশ্রয়হীন সাধারণ মানুষগুলিই অসাধারণ মানবিক।
বাবুদের বাহারি বসতির জানালার কাঁচ ছুঁয়ে যেটুক আলো আসে তাতেই তাদের ঢের চলে যায়,
অন্ধকার হাতড়িয়ে ভাতের ফুটু হাঁড়ি কিংবা ভাঙা ও চেপ্টে যাওয়া জলের কলসি আগলিয়ে রাখে তারা নিজেদের মতো করে,
মশা-মাছি ও নর্দমার নোংরা জলে হামাগুড়ি দিয়ে
বেঁচে থাকা এই সব মানুষেরাই সভ্যতার সিঁড়ি গড়ে দেয়,
অথচ
এই সব কারিগরেরাই অবহেলিত ও নিষ্পেষিত মানবেতর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে কালের স্রোতে ভেসে চলে,
এই অদ্ভুত সমাজ তাদের উপেক্ষা করে চলেছে অনাদিকাল,
এই প্রাণহীন সভ্যতা বদলের সময় এসেছে
সময়ের চাকা ঘুরাতে হবে নিজেদের হাতে,
দিকভ্রান্ত দিশাহীন এই সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেখাতে শেষবারের মতো আরেকটা প্রতিবাদ চাই,
আরেকটা ভূকম্পন চাই,
যাতে ঘুমিয়ে থাকা সকল আগ্নেয়গিরি অগ্নি লাভা হাতে নিয়ে একসাথে জেগে উঠে।
(আগরতলা-20/11/22)