
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আল্লাহর কি পরিকল্পনা আমি দেখবো, আপনারা দেখেন প্রতিটা মানুষের মনে কতটা আশা, ভালো বাসা এবং বিশ্বাস। আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই। আমার এই উপজেলার মানুষের যে ভালো বাসা, আস্থা, বিশ্বাস আমার প্রতি রেখেছে আমি যেন তার প্রতিদান দিতে পারি। আমারও এই দুই উপজেলার মানুষের প্রার্থী হিসেবে জিতে আসতে হবে। আমার বাবা প্রয়াত ওলি আহাদ ও ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে নির্বাচন করেছিল।
এইটা আমার ভোট না, এইটা তাদের ভোট। সরাইল আশুগঞ্জের মানুষই এই আসনের প্রার্থী, সুতরাং আমি যদি নির্বাচিত হই আমার যে সারে পাঁচ লক্ষ ভোটার আছে এইটা তাদের বিজয়। আল্লাহর পরিকল্পনা এই নির্বাচনে এসে আমাকে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বুঝার বাহিরে। আমি দেখবো আল্লাহর কি পরিকল্পনা। বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে এইসব কথা বলেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল -আশুগঞ্জ, বিজয়নগর আংশিক) সংসদীয় আসনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তিনি বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকের বহর নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
এসময় সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক কয়েকশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল, আশুগঞ্জ উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছাড়াও আরো যারা মনোনয়ন পত্র জমা দেন তারা হলেন, বিএনপির শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, জাতীয় পার্টি মনোনীত সাবেক সাংসদ এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, (তিনি অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দেন সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি নেতা হুমায়ূন মিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ছালেক মিয়া)। তবে আসনটি শরিক দল এর জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 





















