ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চান্দিনা পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনে প্রায়ই বন্ধ থাকে সার্ভার, ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা Logo মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলে উদ্ধার Logo শাহরাস্তিতে ২ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক Logo লালমনিরহাটে বৈষম্যমুলক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন Logo বুড়িচংয়ে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রবাসীর কবজি কেটে দিল প্রেমিক ও তার ভাই Logo সুনামগঞ্জে গানে গানে বাউল কামালের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত Logo মুরাদনগরে বিএনপি’র দোয়া মাহফিল থেকে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি Logo বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালিত Logo বেগমগঞ্জে কবর থেকে বস্তাবন্দি একনলা বন্দুক-পাইপগান উদ্ধার Logo আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ

সরাইলে ফয়সাল হত্যা

আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফয়সাল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সরাইল এলাকাবাসীর ব্যানারে হাসপাতাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্তরে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানবন্ধনে নিহত ফয়সালের বাবা রাকিব মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান। তিনি বলেন আমার ছেলে সরাইল কলেজের ছাত্র ছিলেন, সে তার মামার ব্যবসা দেখা শুনা করতো। গত ১৪ এপ্রিল কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ ও সূর্যকান্দি এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঘাতক দের গুলিতে আমার ছেলে মারা যায়। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য: গত ১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ফয়সালের বাবা মো. রাকিব মিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সোমবার আদালতে দায়ের করা (জিআর-৭৭/২৩) ওই মামলায় কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ হোসেনসহ ২৮জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় নিহতের চাচা কুট্রাপাড়া গ্রামের মাফুজ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রোববার কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যন ও জিহাদ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

একই ঘটনায় প্রথমে নিহতের চাচা ও পরে পিতা বাদী হয়ে পরপর দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এই নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান হারুনীসহ একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যের ভিন্নতা দিনদিন স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। ফয়সালকে কে বা কারা গুলি করেছে? কেন গুলি করেছে? গুলি নাকি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে ফয়সাল খুন হয়েছে? পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো কাটছে না ধূম্রজাল। তবে চিকিৎসক বলছেন এ গুলি ছুড়রা গুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক লোক বলছেন, ছোট এই ঘটনাটিকে রহস্যজনক কারণে বড় করেছে তৃতীয় একটি পক্ষ। কার সাথে কোন সময় তর্ক হয়েছে। উচ্চবাচ্য হয়েছে। বাক-বিতন্ডা হয়েছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোটখাট ঘটনায় মামলা ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখে কৌশলে অনেক নিরপরাধ ও নিরীহ লোককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আল্লাহ এসব সহ্য করবেন না।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনা পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনে প্রায়ই বন্ধ থাকে সার্ভার, ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা

SBN

SBN

সরাইলে ফয়সাল হত্যা

আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ফয়সাল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সরাইল এলাকাবাসীর ব্যানারে হাসপাতাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্তরে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানবন্ধনে নিহত ফয়সালের বাবা রাকিব মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান। তিনি বলেন আমার ছেলে সরাইল কলেজের ছাত্র ছিলেন, সে তার মামার ব্যবসা দেখা শুনা করতো। গত ১৪ এপ্রিল কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ ও সূর্যকান্দি এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ঘাতক দের গুলিতে আমার ছেলে মারা যায়। এই ঘটনায় ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। অদৃশ্য কারণে আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য: গত ১৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা’র কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত ফয়সালের বাবা মো. রাকিব মিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৪ এপ্রিল সোমবার আদালতে দায়ের করা (জিআর-৭৭/২৩) ওই মামলায় কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ হোসেনসহ ২৮জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় নিহতের চাচা কুট্রাপাড়া গ্রামের মাফুজ মিয়া বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রোববার কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যন ও জিহাদ দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

একই ঘটনায় প্রথমে নিহতের চাচা ও পরে পিতা বাদী হয়ে পরপর দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এই নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান হারুনীসহ একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যের ভিন্নতা দিনদিন স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। ফয়সালকে কে বা কারা গুলি করেছে? কেন গুলি করেছে? গুলি নাকি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে ফয়সাল খুন হয়েছে? পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো কাটছে না ধূম্রজাল। তবে চিকিৎসক বলছেন এ গুলি ছুড়রা গুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক লোক বলছেন, ছোট এই ঘটনাটিকে রহস্যজনক কারণে বড় করেছে তৃতীয় একটি পক্ষ। কার সাথে কোন সময় তর্ক হয়েছে। উচ্চবাচ্য হয়েছে। বাক-বিতন্ডা হয়েছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় কথা কাটাকাটি হয়েছে। ছোটখাট ঘটনায় মামলা ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখে কৌশলে অনেক নিরপরাধ ও নিরীহ লোককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আল্লাহ এসব সহ্য করবেন না।