
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার
খাগড়াছড়িতে অবরোধের নামে নিরীহ বাঙালি জনতার উপর গুলি চালানো, সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা, মসজিদে হামলা, দোকানপাট লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ঘটনায় পাহাড়ী সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধদের দাবিতে ও চাকমা সার্কেল চীফের ২য় স্ত্রী ইয়েন ইয়েনকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
(২৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফসহ পাহাড়ে সক্রিয় সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ও ইয়েন ইয়েনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
পিসিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস সমাবেশে বলেন, ধর্ষণের মতো মানবিক ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সেনাবাহিনী বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, নিরীহ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানো এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ নয়; এগুলো সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার নকশা।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি অভিযোগ করেন—ইউপিডিএফ, মাইকেল চাকমা ও চাকমা রানী ইয়ান ইয়ানের প্রত্যক্ষ মদদেই পাহাড় অস্থিতিশীল হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউপিডিএফ নিষিদ্ধ ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে না।
বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষক যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতেই হবে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও ইউপিডিএফ ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার নয়, বরং রাষ্ট্রবিরোধী রাজনীতি।
পিসিসিপির নেতারা সরকারের নীরবতার কড়া সমালোচনা করে বলেন, সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা দমন না করলে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সন্ত্রাস আরও বাড়বে। তারা সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান—ইউপিডিএফসহ সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালাতে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান জাকির, মুহিব্বুল্লাহ্ পারভেজসহ আরও অনেকে।