
১. আমি কবি
কবি আমি লিখি সদায়
কাগজ কলম ধরে
ছন্দ কাব্য গ্রন্থ
সার্থক বই প্রকাশ করে।
পান্ডুলিপি জমে আছে
সারি বদ্ধ ভাবে
মরে গেলে এসব
সবাই খুঁজে পাবে।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন কথা
দিলাম ভালোবাসা
কবি সাহিত্য আড্ডায় থাকবো
এইটুকু আমার আশা।
কত শত বই
পড়ে আছে ঘরে
অনুষ্ঠানে বই পাই উপহার
সাহিত্য আড্ডায় গেলে।
লিখছি উপন্যাস আর গল্প
সকাল রাত হলে
ঘুম চোখের কোনে অল্প
সদায় কলম চলে।
মনের মাঝে জেগে উঠে
হবো বড় কবি
হৃদয় মাঝে সকল কাজে
উদিত সূর্যটার ছবি।
মধুর সুরে গাইবো গান
মনোমুগ্ধকর লেখালেখি
এ যেন সাহিত্যের টান
পড়ছি বইটা খুলে।
গত হলো কত
গুণী জ্ঞানী জন
তাই বলি তাদের মত
হয়না লেখার ধরণ।
ছন্দ কাব্য থাকবে চরণ
লিখতে হবে এমন
সবাই যেন রাখে স্বরণ
দেখি লেখাটা হলো কেমন।
দেশ বিদেশে ঘুরে বড়াই
সম্মাননার খোঁজে
সব লেখক কবি
আমাকে কি বুঝে।
গুটি কয়েক লিখছে কি
নাই লেখার ধারা
ভন্ডামি লুচ্চামির জন্য
কাব্য ছন্দ হারা।
মনের মাঝে ঝড়ো হাওয়া
বাঁচতে ইচ্ছে করে
কবি জগৎ তৈরি করি
সৎ সাহিত্যকে ধরে।
সাহিত্য জগতে চলছে ব্যাবসা
কাগজের দাম ঊর্ধ গতি
প্রকাশনায় লুটপাট
বই প্রকাশের হচ্ছে ক্ষতি।
লেখালেখির জগৎটা
নষ্ট গেছে নষ্ট হয়ে
মানবতা শৃঙ্খলা নাই
ইজ্জৎ পড়ছে ক্ষোয়ে।
সিনিয়ার জুনিয়ার
মানা মানির নাই পরিবেশ
অনলাইন সংগঠন করে
ইজ্জৎ সম্মান সব শেষ।
কাগজের দাম গেছে বেড়ে
প্রকাশ করি কার কাছে
লেখালেখি দিতে হবে ছেড়ে
প্রতিবাদ করার সাহস কি আছে।
২. বিজয়ের ছড়া
বিজয় মানে লোহার শিকল
কঠোর হাতে ভাঙা,
বিজয় মানে হৃদ গভীরে
মন হয়ে যায় চাঙা ।
বিজয় মানে সাহসী মন
যায়না তাকে ভোলা,
মাতৃভূমি বিশ্বের বুকে
উজ্জ্বল করে তোলা।
খাই খাই রবে মেতেছিলো
পায় নি তো কোন মায়া,
ছোট্ট শিশু পায়নি মুক্তি
শকুনের কালো ছায়া।
বুক ঢালা সব তাজা রক্ত
আমরা করেছি দান,
তাইতো সেদিন রচিত হলো
বাংলাদেশের নাম।
৩. জীবন খেলা
জীবন নিয়ে কেউ করোনা খেলা
একটি বার দেখো ভেবে,
তোমার মৃত্যুতে কার কি আসে যায়
কে কার নেবে দায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে ওরা সুরক্ষায় সরে দাঁড়ায়
দেয় আমাদের বুক পেতে,
নেতাদের ভাষণে মেতে ওঠে রঙ্গ মঞ্চ
বাড়ে জনমানুষের ভীর।
রাজ নেতাদের আখের গোছাতে
প্রাণ নিয়ে করে টানাটানি,
প্রতিবেশী পরিজন সবাই আপন
তবুও করি কানাকানি।
শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি হয়
মানবতা বিকে সস্তায়,
সেবার লড়াইয়ে মিলিয়েছে পা
মিছিল নেমেছে রাস্তায়।
ন্যায়ের দাবিতে চিৎকার শুনি
জীবন হয়েছে অস্থির,
পাশের দরজায় দেওয়াল লিখন
অফিসে অধিক ভীর।
মোদের জনগন বোকার মতন
সব শুনে যায় নীরবে,
চৌকাঠে এসে ভুয়া আশ্বাস দেয়
আগামীটা উজ্জ্বল হবে।
সময় আসবে সময় যাবে
কত কি হবে দেখ,
তুমিও মানুষ আমিও মানুষ
কখনও কি একবার ভাবো।
আমাদের বিপদে তোমরাই দাঁড়াবে
ওরা তো দেখাবে রঙ্গ,
দেখি ভাইয়ের রক্তে ভাইয়ের লালসা
স্বজনে লাগছে জং।
তুবও আমরা বাঁচার তাগিদে
হইনা কখনো পর,
আজ যদি না থাকো পাশে
হয়তো পাবে কোন এক পরশে।
৪. কবির প্রেমে কবিতা
ভাবনা গুলো বন্দী রইলো
ঝাপসা কাঁচের ফ্রেমে,
কবিতাকে সে ভালোবেসে
পড়লো কবির প্রেমে।
রাত্রি নামলে তারা হবো
প্রদীপ সন্ধ্যা বেলায়,
কবির প্রেমের কবিতা হবো
সঙ্গী পুতুল খেলায়।
গভীর রাতে বদলে গেলো
জীবন সরলরেখা,
অনেক কথাই বলার ছিলো
হলোনা কবিতা লেখা।
কবির কথায় আগুন ছিলো
পড়েছিল তার মন,
শব্দ গুলো প্রাণ পেলোনা
রইলো যে গোপন।
অন্তরে তার আবেগ ছিলো
করছিলো যে টলমল,
নদীর বুকে ঢেউ দেখেছি
কবির চোখে জল।
কবির প্রেমিক হলোনা সে
কবিতাও হলো পর,
স্মৃতি গুলো সব উলোটপালোট
কবির বুকে ঝড়।
৫. সূর্য
সূর্যটা কতো দূরে
আমাদের পিছু ঘোরে,
যখন ঘরে থাকি
জানালায় দেয় উঁকি।
গ্রীষ্মের দুপুরে
কি কষ্ট আহারে,
কিন্তু শীতের রাতে
যখন হাড় কাঁপে।
সূর্যটা এক বিস্ময়
মানে নাকো পরাজয়,
সারাবেলা পিছু ঘোরে
সন্ধ্যায় ডুবে কোথা রে।
খুব বেশি মনে পরে তাহারে
মেঘবৃষ্টি আর সকালে,
জালাতন করে সারাক্ষণ
কেমনে থাকিস ঘরেতে।
৬. ঈমান আমল
মুক্ত হস্তে করি দান হে রহিম রহমান
তোমার কর্মে তোমার ত্যাগে জগত হলো বলিয়ান।
সকাল সাজ করি মোনাজাত
তোমাদের জন্য পাব নাজাত।
হে পরওয়ারদিগার কর মোদের হেদায়াত সদা করি যেন তোমার ইবাদত।
মুহাম্মদ নাম বক্ষ করিয়া
চলব সবাই আল্লাহ ভয় করিয়া।
দীন কর ইসলাম দান হবেনা কেউ নিরাস
আল্লাহ কে ভয় করিলে ঈমান আসবে আপনা আপনি।
সকল বদ অভ্যাস করি ছাড়ি ঈমানের পথে আসি তাড়াতাড়ি
নাজাত মিলবে ঈমানের ঘরে।
ঘর কর উজ্জ্বল নামাজ পড়ে
নামাজ হবে বেহেশতের চাবি।
বাবা মায়ের আদরেতে বড় হও তাদের ছায়াতে
বয়স হলে বাবা মায়ের যত্ন কর পরকালের ভয়ে।
দুঃখী জনে দান করিলে পুন্নি পাবে আপন খাতায়
সন্তানদিগের লালন পালনে মিলবে
জান্নাতের দরজা অতি সহজে।
দুদিনের দুনিয়ায় কে বড় আর কে ছোট
ভোদাভেদ কে খোদা হাফেজ বলো।
একে ওপরের গিবত না করো
আল্লাহর নামের গুনগান করো।
ঈমান আমল মজবুত হইলে
ফুলসিরাত পাড় হইবে অকপটে।
৭. চলো পাল্টাই
বর্ণচোরা আজ বদলেছে রং
সাদা বা কালো বা তামাটে,
দুপুর কিংবা রাত বা মায়াঘেরা সকাল
নীলচে রং আজ চারপাশে।
পূতনার স্তনের দুধ আনতে পারেনি গরল
নীলকণ্ঠ আয়নাতে গলা দেখে অবাক,
রং বদলানো, দল বদলানো সব আছে
শুধু দিন বদলের দিন খুঁজে পায় না কেউই।
সহস্রাব্দ বাদে নীলকণ্ঠ ফের কাজে নামতে চলেছে
নতুন করে নীলকণ্ঠ হবে বলে,
ভোট ময়দানের মন্থনদণ্ড থেকে নির্গত হলাহল সে নেবে নিজের বুকে জনগণের প্রতিভূ হয়ে।
না, কোন ঈশ্বর আসবে না নীলকন্ঠ হয়ে
বিলীন হতে হবে তোমাকে বা আমাকে গরল নিয়ে পঞ্চভূতে,
রেখে যেতে এক রঙিন আকাশ সকলের জন্য
আজ এই দোলের দিনে।
৮. সেদিন
তুমি স্বপ্নে ধরা দিতেই
ইচ্ছেরা ভীষণ রঙিন,
সেদিন যেন গল্পের মতো
আমি নিমিষেই সংঙ্গাহীন।
তুমি আড়চোখে চাইতেই
আমি লজ্জায় রাঙ্গায়িত,
সেদিন অজান্তেই করেছিলাম
অচেনা ভালোবাসাকে বরণ।
সেদিন ছিলো বৈশাখ সাঝ
পরনে ছিল সাদামাঠা বেশ,
তোমার স্নিগ্ধ ঠোঁটের হাসিতেই
আমার প্রথম সবদাহ
সেদিন ছিল তোমার প্রতিক্ষায়
তুমি দেওনি ধরা,
তোমার ভাবনার এককোণ আমি
গড়ে তুলেছি দুনিয়া।
৯. লাল সবুজ দেশটাকে
ফুল পাখি নাও নদী
রঙ নিয়ে আঁকি
লাল সবুজ দেশটাকে
বুকে ধরে রাখি।
মন চায় উড়ে যাই
মেলে দুটি পাখা
ফুলে ফলে ভরে আছে
গাছেদের শাখা।
মন মেলে উড়ি আমি
নেই যদিও ডানা
এই পৃথিবীর মন্দ-ভালো
সব যে জানা
মনের যতো স্বপ্নকথা
যতন করে রাখি
আমিতো এক মানব শিশু
মানুষ নামে পাখি।
১০. মন আমার
আমি আমার মত তাই
বলি অহরহ
মন তুই কেন অবুঝ বল,
নদীর মত করি’স কলকল।
সর্বদাই করিস কেন জ্বালাতন
শুনলি না তুই আমার কোন কথা,
বকবকিয়ে খাস যে কেন মাথা
তুই যদি না থাকতি তোর মত
আমার মন কে বুঝবে বল।
মনরে মন তোকেই বলি শোন
তোকে ছাড়া আমি কিছুতো নই
মন তুই রাখলি না মোর মন,
মন তোকে খোঁজে সারাক্ষণ।
তুই যে আমার একলা
ঘরের আধাঁর আলো
একটু দুখের কথা তোকে ছাড়া
কাকেই বলি বল।
মনরে মন তোকে ছাড়া
কেমনে বল ঘুমাই
মন তুই স্বপ্ন দেখাস কেন
সুখের দিন আসবে কি আর,
মনের ভেতর যেন।
মনরে মন চল তোকে নিয়ে
করি আমার রাজ্যে কিছু বিচরণ
তোকে নিয়ে চল যাই তেপান্তরে
তুই হবি কি সাগরের নীল জল।
তোকে নিয়ে সুখটা না হয় খুঁজেই
পেলাম তোর কছেই থেকেই বল
মন তুই ছাড়া আমার তো কেউ নেই,
বল,
তবু তুই করিস খালি ছল।
আমায় নিয়ে ভাববি না কি
এখন তুই আমার মনের তল
মন তোর মনের কথা বল,
আর করিস না তো ছলছল।
আজ দেখ নদীও বলে তোর মন,
কেন যেন মনেতেই চঞ্চল
মন তুই এমন করলে রোজ,
মনটা আমার করে না যে কোন সাজ।
মনরে মন তুই করিসনে আর
কোন চাল
মনরে মন আয় মনের মাঝে আয়,
স্বপ্ন দেখি মনকে নিয়ে আজ
গোপন ঘরের বাতি হয়েই জ্বল
ছলাত ছল।