
ঠাকুরগাঁওঃ প্রতিনিধি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলার সম্মিলিত উলামা পরিষদ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার সময় বালিয়াডাঙ্গী ক্রীড়া সংস্থা মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করেন তাঁরা। মিছিলটি চৌ-রাস্তা ও শহীদ মিনার হয়ে পুনরায় চৌ-রাস্তায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
এসময় তারা পৃথিবীর মানবতা রক্ষা ও ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বাণী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ‘আল আকসা আল আকসা, লাব্বাইক লাব্বাইক, বিশ্বের মুসলিম এক হও এক হও’, ‘আল আকসা আল আকসা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ইসরায়েলের ইহুদিরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘ইসরায়েলের কাপুরুষেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এতে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল মজিদ, বালিয়াডাঙ্গী জমিরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি শরিফুল ইসলাম , মুফতি আব্দুল আলিম, হাফেজ আনোয়ার হোসেন ও মুহাম্মদ রবিউল আওয়াল সহ অনেকেই।
বিক্ষোভ মিছিলে এক বৃদ্ধকে হুইলচেয়ারে করে অংশ নিতে দেখা যায়। মিছিলে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও মুসলিমরা অত্যাচারিত হলে আমাদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আমিও মিছিলে অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভ মিছিলে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি যে জুলুম-নির্যাতন চলমান, তার প্রতিবাদে আজ আমরা সমবেত হয়েছি। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মুক্তিকামী জনতার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আমরা কোনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করি না। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে অন্যায় হবে, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।
জমিরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি শরিফুল ইসলাম বলেন, ইসরাইল বরাবরই তাদের আগ্রাসী ভুমিকা চালিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয় হচ্ছে, তারা ফিলিস্তিনি মা-বোনদের প্রতিনিয়ত হত্যা করছে। এমনকি তাদের এ অমানবিক নির্যাতন থেকে অবুঝ শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। আজ কথিত বিশ্বমানবতার দাবিদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা আজ কোথায়? জাতিসংঘ আজ কোথায়? মানবতা আজ কোথায়? আমরা বিশ্বনেতাদের কাছে আবেদন রাখবো শীঘ্রই তারা এ যুদ্ধ থামানোর সিদ্ধান্ত নিবে এবং ফিলিস্তিনদের এ নির্মম নির্যাতন থেকে রক্ষা করবে।