ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo ডিমডুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo যমুনা লাইফের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম Logo মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি Logo ভোট দিতে এসে প্রান হারালেন মোটর শ্রমিক সদস্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে – আবু হানিফ Logo কুমিল্লায়  জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ৪ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

উখিয়ায় মাদকবিরোধী কার্যক্রম শুরু করলো ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

‘এনহ্যান্সিং দ্য ক্যাপাসিটি অব সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউজ এমাং দ্য ইয়ূথ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের উখিয়াতে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম শুরু করলো ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়াযর পাল্স বাংলাদেশ সোসাইটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টারে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সহযোগিতায় প্রকল্পটি উখিয়ার নির্বাচিত ৫ টি স্কুলে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ বদরুল আলম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব আলী।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ডিএনসি’র কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, এই কার্যক্রমের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সম্পৃক্ত হয়ে একযোগে কাজ করে যাবে। এই কার্যক্রমের ফলে পারিবারিক দক্ষতা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বাবা-মা ও অভিভাবক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে। এর মাধ্যমে তারা পরিবার তথা কমিউনিটি পর্যায়ে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা দলগতভাবে নিজেরা ও সমবয়সীদেরকে সক্ষম করার মাধ্যমে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে এবং কমিউনিটিকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, উখিয়া সীমান্ত শহর হওয়ায় মাদক পাচার ও অপব্যবহারের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সম্প্রতি এই এলাকায় ‘ক্রিস্টাল আইসনামের সিন্থেটিক ওষুধের সবচেয়ে বড় চালান বাজেয়াপ্ত করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তার উপরে শহরটি ফোর্সলি ডিসপ্লেড মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) শিবিরে ভারাক্রান্ত। অন্যদিকে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটির বিগত সভায় কক্সবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এসব কারণেই এই এরিয়াটিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি তরুণদের এবং তাদের পরিবারের জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণে প্রমাণ-ভিত্তিক এবং টেকসই পরিবর্তনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন এবং যোগাযোগ কার্যক্রম সমন্বয় করবে। এর ফলে সমাজে মাদকের ব্যবহার যথেষ্ট হ্রাস পাবে বলে আশা যায়।

এসময় উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শাহেদুল হক প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা পেশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে মাদকের উপর নির্ভরশীলতা ও এর নেতিবাচক প্রভাব এবং মাদকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলায় মাদকের হুমকি মোকাবেলায় জ্ঞান, সক্ষমতা ও রেজিলিয়েন্স গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার একটি গুরুতর সমস্যা যা সমাজের সকল স্তরের মনোযোগ প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বনগ্রাম আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

উখিয়ায় মাদকবিরোধী কার্যক্রম শুরু করলো ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘এনহ্যান্সিং দ্য ক্যাপাসিটি অব সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউজ এমাং দ্য ইয়ূথ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের উখিয়াতে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম শুরু করলো ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়াযর পাল্স বাংলাদেশ সোসাইটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টারে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সহযোগিতায় প্রকল্পটি উখিয়ার নির্বাচিত ৫ টি স্কুলে বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ বদরুল আলম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব আলী।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ডিএনসি’র কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, এই কার্যক্রমের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সম্পৃক্ত হয়ে একযোগে কাজ করে যাবে। এই কার্যক্রমের ফলে পারিবারিক দক্ষতা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বাবা-মা ও অভিভাবক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে। এর মাধ্যমে তারা পরিবার তথা কমিউনিটি পর্যায়ে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা দলগতভাবে নিজেরা ও সমবয়সীদেরকে সক্ষম করার মাধ্যমে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে এবং কমিউনিটিকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, উখিয়া সীমান্ত শহর হওয়ায় মাদক পাচার ও অপব্যবহারের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সম্প্রতি এই এলাকায় ‘ক্রিস্টাল আইসনামের সিন্থেটিক ওষুধের সবচেয়ে বড় চালান বাজেয়াপ্ত করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তার উপরে শহরটি ফোর্সলি ডিসপ্লেড মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) শিবিরে ভারাক্রান্ত। অন্যদিকে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটির বিগত সভায় কক্সবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এসব কারণেই এই এরিয়াটিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি তরুণদের এবং তাদের পরিবারের জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণে প্রমাণ-ভিত্তিক এবং টেকসই পরিবর্তনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন এবং যোগাযোগ কার্যক্রম সমন্বয় করবে। এর ফলে সমাজে মাদকের ব্যবহার যথেষ্ট হ্রাস পাবে বলে আশা যায়।

এসময় উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শাহেদুল হক প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা পেশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে মাদকের উপর নির্ভরশীলতা ও এর নেতিবাচক প্রভাব এবং মাদকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলায় মাদকের হুমকি মোকাবেলায় জ্ঞান, সক্ষমতা ও রেজিলিয়েন্স গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার একটি গুরুতর সমস্যা যা সমাজের সকল স্তরের মনোযোগ প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।