
হবিগঞ্জের চুনারুগাটের এক শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার হিসেবে একটি মাইক্রোবাস পেয়েছেন ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল তারকা হিরো আলম। সেই গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন স্বঘোষিত এই হিরো।
উপহার পাওয়া মাইক্রোবাসের সঙ্গে তোলা নিজের তিনটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে হিরো আলম ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘উপহারের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে মানুষের জন্য ব্যবহৃত হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে এই গাড়িটি আনতে গিয়ে জরিমানা গোনেন হিরো আলম। গাড়িটি আনতে হবিগঞ্জে যাওয়ার পথে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ তাকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযোগ, হিরো আলমকে বহনকারী গাড়িটি নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে চলছিল। এ জন্য শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ তাকে জরিমানা করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচন। এই দুই আসনেই একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে সদর আসনে বড় ব্যবধানে হেরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং বগুড়া-৪ আসনে হারেন মাত্র ৮৩৪ ভোটে।
এই উপনির্বাচনের আগের দিন এম মখলিছুর রহমান নামে হবিগঞ্জের এক শিক্ষক ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে তার ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই গাড়িই মঙ্গলবার বুঝে পেলেন হিরো আলম।
এদিকে গাড়িটি নেওয়ার জন্য হিরো আলমের যাওয়ার খবরে চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে ওই শিক্ষকের বাড়িতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিরো আলমকে গাড়ি উপহারদাতা মখলিছুর রহমান।
ফেসবুকে লাইভে মখলিছুর রহমান বলেছিলেন, তিনি হিরো আলমকে কম ভালোবাসেন না। হিরো আলম বগুড়ার মানুষের মন জয় করেছেন। নির্বাচনে ফল যেটাই আসুক, সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি তার গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দিতে চান।
এদিকে গাড়ি উপহারের বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব না দিলে মখলিছুর রহমান আরেকটি লাইভ করেন। এরপরই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন হিরো আলম। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার উপহারের গাড়ি নিতে চুনারুঘাট যান হিরো আলম।