
এম ডি এন মাইকেল
কমলাপুর কাস্টমস হাউজের প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল গায়েবের প্রধান হোতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কারাবন্দি আমির হোসেন আমু ও ব্যারিস্টার শাহজান ওমর’র পুত্র দাবিদার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ পরিবেশ ও বন সম্পাদক একই অঙ্গে বহুরূপ ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় কি আইনের উর্ধ্বে?
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ২০১৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর কমলাপুর কাস্টম হাউস (আইসিডি) কর্তৃপক্ষ জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রির দরপত্র আহবান করেন।ওই নিলামের মাধ্যমে ১৬ টি লটে ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করা হয়।ওইসব জব্দকৃত মালামালের সাথে থাকা ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৪০ মাস্টার কার্টুন ইজি গোল্ড সিগারেট নিলাম না করে গোপনে সরিয়ে নেওয়া হয়।বাকি ১৭ টি মাস্টার কার্টুন সিগারেট গুদামে রেখে দেওয়া হয়।অনুসন্ধানে গিয়ে আরও জানা যায়,২৫৭ মাস্টার কার্টুন সিগারেটের মধ্য থেকে ২৪০ মাস্টার কার্টুন সিগারেটের কাটুনের ভিতর থেকে বের করে অপ্রয়োজনীয় মূল্যহীন জিনিসপত্র খালি কাটনে ভরে রেখে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েন উক্ত নিলামে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারীর প্রতিষ্ঠান জিবিসি ইন্টারন্যাশনাল এর মালিক শহিদুল ইসলাম হৃদয়।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১২ই ডিসেম্বর কমলাপুর কাস্টম হাউস (আইসিডি) এর তৎকালীন সময়ে দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার ডঃ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর মুঠোফোনে উক্ত সময় কমলাপুর কাস্টম হাউজের জব্দকৃত মালামাল নিলাম ডিএফএসইউ/৬৬১৬৮৪৬(২০১৪) নম্বর কন্টেইনারে থাকা নিলামকৃত মালামাল চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে খুদেবার্তার মাধ্যমে জানান, সাংবাদিক ভাই আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছি আমার জন্য দোয়া করবেন।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ২০১৪ সালের ১২ ই ডিসেম্বর কমলাপুর কাস্টম হাউজের কয়েক কোটি টাকা মালামাল গায়েবের বিষয় নিয়ে ২৬-১১-২০১৫ সালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর কাস্টম হাউস বরাবর অভিযোগ করেন জনৈক কবির হোসেন তালুকদার নামে এক ব্যক্তি, কিন্তু ওই সময়ে উক্ত নিলামে অংশগ্রহণ করে নিলামকৃত মালামাল এর কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারীর প্রতিষ্ঠান জিবিসি ইন্টারন্যাশনালের মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ পরিবেশ ও বন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হৃদয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুর ক্ষমতা ব্যবহার করে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।(তৎকালীন সময়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগের কপি সংরক্ষিত) এই নিয়ে তৎকালীন সময়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয়।
একই অঙ্গে বহুরূপ ছাগল চোর যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হৃদয় এর পরিচিতি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ- বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ২ নং পাটি খালঘাটা ইউনিয়ন দপ্তর পশর বুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনি হাওলাদার এর সন্তান।২ নং পাটি খালঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।এলাকায় থাকা অবস্থায় ছাগল চুরির কারণে তৎকালীন ২ নং পাটি খালঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম জল্লাদ শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের বিচারের দিন ধার্য করেন। ছাগল চুরির বিচারকার্যে উপস্থিত না হয়ে শহিদুল ইসলাম হৃদয় পালিয়ে ঢাকায় চলে আসার পর বিচারের দিন চেয়ারম্যান আলম জল্লাদ গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তার বাবা আব্দুল গনি হাওলাদারকে ইউনিয়ন পরিষদে শত শত মানুষের সামনে অমানবিক নির্যাতন করেন বলে তৎকালীন সময় উক্ত বিচারকার্যে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন এই প্রতিবেদককে জানান। ২ নং পাটি খালঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা আরো জানান আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম জল্লাদকে খুনের পিছনে শহিদুল ইসলাম হৃদয় জড়িত থাকার কারণে চেয়ারম্যান আলাম জল্লাদ এর খুনের মামলায় দীর্ঘদিন জেল খাটেন শহিদুল ইসলাম হৃদয়।
ছাগল চুরির বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ঢাকায় পালিয়ে এসে প্রথমে রাজধানী ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেটের ফুটপাতে অবৈধ ব্লু ফিল্ম সিডি ক্যাসেটের ব্যবসা করেন। পরবর্তীতে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কোম্পানির নকল জুস তৈরি করে বাজারজাত করতে থাকে।ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় দীর্ঘদিন বিভিন্ন কোম্পানির নকল জুস তৈরি করে বাজারজাত করার কারণে তাৎকালীন সময় ভ্রাম্যমান আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নকল জুস উৎপাদন কারখানাটি সিলগালা করে দেয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নকল জুস কারখানা সিনগালা করার সময় শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের একজন নিকট আত্মীয়কে সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ।
ঝালকাঠি জেলায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু কে বাবা ও আমির হোসেন আমুর শালিকা ম্যারিকে মা ডাকতে শুরু করে। আমির হোসেন আমুর নাম ব্যবহার করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ পরিবেশ ও বন সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়ে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা। একই অঙ্গে বহুরূপ ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় ঠিকাদারি ব্যবসায় শুরু করেন অভিনব প্রতারণা, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিসিক এপিআই শিল্প পার্ক নির্মাণ কাজে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ।এমনকি কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার মতো জঘন্য একাধিক ঘটনা আছে।পরবর্তীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর,বহুরূপী ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় তাকে বাবা ডাকা শুরু করেন নিজের অনিয়ম দুর্নীতি বজায় রাখার জন্য।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় ব্যক্তি জীবনে ছাগল চোর শহিদুল ইসলাম হৃদয় দুইটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন,প্রথম স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতনের পর তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে কোন সন্তানাদি না হওয়ায় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নবজাতক চোর চক্রের সদস্যদের থেকে একটি পুত্র সন্তান ক্রয় করে নিজের সন্তান বলে প্রচার করতে থাকে।
একই অঙ্গে বহুরূপ ছাগল চোর,সরকারি মালামাল আত্মসাৎ,দুর্নীতিবাজ, আমির হোসেন আমু, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর কে বাবা ডাকা ও আমির হোসেন আমুর শ্যালিকা মেরি কে মা ডাকা শহিদুল ইসলাম হৃদয় ও তার স্ত্রীর ডিএনএ পরীক্ষা করা হলেই বেরিয়ে আসবে নিজের সন্তান বলে দাবিকৃত ছেলের প্রকৃত পিতা-মাতা আসলে কে? এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।একই অঙ্গে বহুরূপ ছাগল চোর যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের সকল অনিয়ম দুর্নীতি ও অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান বলে প্রচার করার বিষয়ে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান সচেতন মহল।
চলবে,,,,,,,,