
এম ডি এন মাইকেলঃ
২০ শে মে-০২৫ ইং তারিখে দুদক’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর হাতে আলাদিনের চেরাগ শিরোনাম দৈনিক মুক্তি লড়াই পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর কর পরিদর্শক মনির হোসেন শাকিল ভূইয়া নামক জনৈক এক ব্যক্তিকে দিয়ে প্রতিবেদকের মতো ফোনে ফোন দিয়ে অনলাইন থেকে নিউজটি সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ জানান।জনৈক শাকিলের এমন অনুরোধে প্রতিবেদক শাকিল কে বলেন কর পরিদর্শক মনির হোসেনের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের তথ্য প্রমাণ সহ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের এমন বক্তব্য শুনে কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর পক্ষে সাফাই গাওয়া জনৈক শাকিল মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে কর পরিদর্শক মনির হোসেন ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে এলাকার মানুষ তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এলাকাবাসীকে বলেন, বর্তমান এনবিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সম্পর্কে আমার নানা, সুতরাং সাংবাদিকরা আমার অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করলেও আমার কিছুই করতে পারবে না!
কর পরিদর্শক মহা দুর্নীতিবাজ মনির হোসেনের এমন বক্তব্যে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আমাদের এলাকার গর্ব তুমি মনির তার নাম বিক্রি করে অনিয়ম-দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করবা তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না,এমনকি তোমার কারনে আব্দুর রহমান খান শামীম সাহেব এর বদনাম হবে তাও হতে পারে না। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় কোরবানির ঈদ’র সময় কর পরিদর্শক মনির রামগঞ্জ থানার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন’র লক্ষ্মীর ধরপাড়া নানার বাড়ী এলাকায় গেলে ওই এলাকার জামিয়া বাসিন্দারা কর পরিদর্শক মনির হোসেনকে প্রশ্ন করেন মনির তুই যে আমাদের এলাকার গর্ব দেশ প্রেমিক বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান শামীম সাহেব এর নাম বিক্রি করে অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে তোমার নিজ গ্রামে ও (নানার বাড়ি এলাকায়) কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছ এই সব এর বিরুদ্ধে পত্রিকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তুমি কি জানো না?
এলাকাবাসীর এমন প্রশ্নের উত্তরে কর পরিদর্শক মহা দুর্নীতিবাজ মনির হোসেন বলেন আব্দুর রহমান খান শামীম আমার নানা তা তো আপনারাও জানেন তাই সাংবাদিক’রা আমার বিরুদ্ধে কি লিখল না লিখল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। প্রশ্ন জাগে কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর মত একজন মহা দুর্নীতিবাজ কি করে এনবিআর এর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান শামীম এর মত সৎ বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক অফিসার’র নাম বিক্রি করার দুঃসাহস দেখায় কি করে? মহা দুর্নীতিবাজ কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর বিরুদ্ধে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় কোরবানি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এলাকায় গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে পুরস্কার বিতরণ করতে দেখা যায় বলে এলাকাবাসী জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর এর কর পরিদর্শক পদে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরিতে যোগদানের অল্প কয়েক বছরের মধ্যে নামে বেনামে গ্রামের বাড়ি ও ঢাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগের সূত্র ধরে,অনুসন্ধানে গিয়ে কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের রামদেব গ্রাম ও নানা বাড়ী রামগঞ্জ থানার ৯ং ভোলাকোট ইউনিয়ন এর লক্ষীর ধরপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ি এলাকায় নামে বেনামে ক্রয় করেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র জন্মস্থান নিজ গ্রাম ও নানার বাড়ির এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
কল পরিদর্শক মনির হোসেন এনবিআর চাকরিতে যোগদান করেছেন আনুমানিক ৮থেকে ৯ বছর মতো কিন্তু এই অল্প কয়েক বছরের মধ্যে মনির হোসেন রূপকথার সেই আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যায়। নজির বিন অনিয়ম দুর্নীতি নামক সেই আলাদিনের চেরাগের কারিশমায় মনির হোসেন অল্প কয়েক বছরের মধ্যে নিজ গ্রামে কয়েক কোটি টাকার জায়গা সম্পর্কে কিনার পরে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে নিজ গ্রামের মানুষদের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকে।এক পর্যায়ে কর পরিদর্শক মনির হোসেন নানার বাড়ি এলাকায় পুরনো পয়সাওয়াল বাসিন্দাদের সাথে টেক্কা দিয়ে ক্রয় করতে থাকেন কোটি কোটি টাকার জায়গা সম্পদ।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মহা দুর্নীতিবাজ কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর পিতা এক সময় সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন আর্থিক অবস্থা ছিল নিম্ন মধ্যবিত্ত।কিন্তু মনির হোসেন এর এনবিআর এ চাকরি হওয়ার পর অল্প কয়েক বছরের মধ্যে গ্রাম নব্য কোটিপতি হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। এরই মধ্যে মনির হোসেন গ্রামের বাড়িতে আনুমানিক কোটি টাকা খরচ করে ডুপ্লেক্স আকৃতির বিলাসবহুল বিল্ডিং নির্মাণ করেন।কর পরিদর্শক মনির হোসেনকে এলাকার মানুষ জানোয়ার হিসেবে জানেন, কারণ নিজ জন্মস্থান এলাকায় যেকোনো অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে থাকেন বলে জানান নানার বাড়ি এলাকার এবং নিজ গ্রামের লোকজন।
অনুসন্ধান কালে কর পরিদর্শক মনির হোসেনের নানার বাড়ি এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেদককে জানান বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আমাদের এলাকার গর্ব তিনি একজন সৎ নিষ্ঠাবান দেশ প্রেমিক মানুষ হিসেবে দল মত নির্বিশেষে সর্ব মহলে ওনার সুনাম ছড়িয়ে আছে এমনকি তার কাছে কোন প্রকার অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতির বিন্দুমাত্র ছাড় নাই।কর পরিদর্শক মনির হোসেনের নানার বাড়িতে এলাকা লক্ষ্মী ধরপাড়া এলাকায় বাসিন্দারা আক্ষেপের সুরে বলেন কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর মত দুর্নীতিবাজ এর কারণে আমাদের এলাকার মান সম্মান ধ্বংসের পথে তাই আমাদের এলাকাবাসীর দাবি বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান, কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র মতো দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
অনুসন্ধান কালে কর পরিদর্শক মনির হোসেনের গ্রামের বাড়ি রামদেব লতিফ মাস্টার বাড়ির আশেপাশে বসবাস করা সেলিম হোসেন ও এনায়েতুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে বলেন কর পরিদর্শক মনির হোসেন যেই টাকা বেতন পান সেই টাকা দিয়ে চাকরির এই আট নয় বছর বয়সে এত কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করা কোন দিন এই সম্ভব না।কর পরিদর্শক মনির হোসেন এই কোটি কোটি টাকার সকাল-সম্পদ কিনেছে অনিয়ম দুর্নীতির টাকায়।তাই আমরা চাই দুর্নীতি দমন কমিশন কর পরিদর্শ মনির হোসেনের ক্রয় করা নামে সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজে লাগানো উচিত।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় কর পরিদর্শক মনির হোসেন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় আত্মীয়-স্বজনের নামে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ফ্ল্যাট প্লট ও বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েক লক্ষ টাকা।কর পরিদর্শক মনির হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে এনবিআর এর দ্বিতীয় সচিব (বোর্ড প্রশাসন-১) তানজিনা রহমান’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের সত্যতা পেয়ে থাকলে সংবাদ প্রকাশিত করেন।
এমনকি তিনি আরও বলেন কর পরিদর্শক মনির হোসেনের বিষয়ে আপনি এনবিআর এর কর প্রশাসন এর সাথে আলোচনা করতে পারেন।পরবর্তীতে কর প্রশাসন জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ এর অফিসিয়াল নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ১৯-৫-০২৫ ইং তারিখে নজিরবিহীন অনিয়ম-দূর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত নামে বেনাম সম্পদের বিষয়ে জানতে কর পরিদর্শক মনির হোসেন এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আগামী দিন (২০-৫-০২৫ ইং তারিখে) আপনাকে বক্তব্য জানাব এই বলে মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কর পরিদর্শক মনির হোসেনের কথামতো আজ ২০-৫-০২৫ ইং তারিখে সংবাদ প্রকাশিত করার স্বার্থে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই আসেন এক জায়গায় বসে আমরা দুই জন চা মাস্তা খাই এবং কথা বলি।কর পরিদর্শক মনির হোসেনের চা-নাস্তা খাবার কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।