
মাহামুদুল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “স্যামিয়া আক্তার” নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এনসিপি নেতা নাহিদের ওপর প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পোস্টে লেখা ছিল।
“অবশ্যই হবি, ১৪ হাত মাটির নিচে থাকলেও ধরে এনে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ঝুলিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ কথা দিলাম।”
সামিয়ার আইডি ঘেঁটে দেখা গেছে, সেখানে হুমকি, উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং গুজব ছড়ানোর বিষয়বস্তু রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে নাহিদের ছবি ব্যবহার করে উল্লেখ করা হয়েছে,
পরবর্তী ধাপে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হবো: নাহিদ।”
এই হুমকিমূলক পোস্ট দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে তীব্র সমালোচনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটিকে প্রকাশ্য হত্যার উসকানি ও রাজনৈতিক সহিংসতার আহ্বান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাজনৈতিক বিরোধীতা হুমকি-ধামকিতে দমন করা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। মতের পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক — তা সংলাপ ও আইনের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত, হুমকি বা উসকানির মাধ্যমে নয়।
কারো ওপর সরাসরি হত্যার হুমকি প্রকাশ করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত, স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা অপরিহার্য।