বেইজিং সময় ৯ ফেব্রুয়ারি রাত আটটায়, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র ‘বসন্ত উৎসব গালা’ সম্প্রচারিত হয়। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ এই অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেছেন।
এবারের গালা ধারণা, শিল্প, ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে, সহজ-সরল ও সুন্দর অভিব্যক্তির মাধ্যমে, ২০২৩ সালে চীনা মানুষের অর্জিত সাফল্যগুলো তুলে ধরা হয়। এটি ছিল বসন্ত উৎসবে সিএমজি’র সাংস্কৃতিক উৎসব।
শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিএমজি’র ড্রাগন-বর্ষ বসন্ত উৎসব গালা লাইভ দেখেছেন বিশ্বব্যাপী ৬৭ কোটি ৯০ লক্ষ দর্শক। তাছাড়া, অনুষ্ঠান লাইভ দেখার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫০ কোটি বারের বেশি, যা আগের বছরের চেয়ে ১২.৬৯ শতাংশ বেশি। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালা নিয়ে ১৬.০৫২ বিলিয়ন বার আলোচনা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৯.৪৮ শতাংশ বেশি।
সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি ও রুশ চ্যানেল এবং ৬৮টি ভাষার নতুন গণমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে গালাটি একযোগে সম্প্রচারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, জাপান, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের ২ শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ২১০০টিরও বেশি গণমাধ্যম গালাটি সরাসরি সম্প্রচার করে। এটি বিশ্বব্যাপী ৬৪৯ মিলিয়নেরও বেশি রিচ পেয়েছে এবং ভিডিও ২১০ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।
চলতি বছরের বসন্ত উৎসব গালার মূল মঞ্চ ছিল বেইজিংয়ে। তবে, শেনইয়াং, ছাংশা, শেন’সি ও সিনচিয়াং-এ চারটি শাখা-মঞ্চ স্থাপন করা হয়। চীনা বৈশিষ্ট্যময় পরিবেশনা, গান ও নাচ এবং যন্ত্রসংগীত স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের আঞ্চলিক সংস্কৃতির সাথে মিলেমিশে এক অনন্য শিল্পের সৃষ্টি হয় গালায়।
এ বছর হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বসন্ত উৎসবকে জাতিসংঘের ছুটির দিন হিসেবে মনোনীত করার পর প্রথম নববর্ষ। সিএমজি’র উদ্যোগে ‘বসন্ত উৎসব ওভারচার, সারা বিশ্ব বসন্ত উৎসব গালা দেখুন’ শীর্ষক কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে ৪০ বার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন মহাদেশের ৪৯টি দেশের ৯০টি শহরের ৩ হাজারেরও বেশি গণস্ক্রিনে এবারের গালা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।