
এম.ডি.এন.মাইকেল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতিকে দেখিয়ে এলজিইডি’র সদ্য পিআরএল এ যাওয়া সার্ভেয়ার ফেরদৌস আলম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
সদ্য পিআরএল এ যাওয়া সার্ভেয়ার ফেরদৌস সালামের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ভৈত্তিক সম্পত্তির দাবিদার কে?
অনুসন্ধানে গিয়ে যাহা দেখা যায় ও জানা যায় এলজিডিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় সার্ভেয়ার ফেরদৌস আলম অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় নিজ জেলা টাঙ্গাইল কোতোয়ালী শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পূর্ব পাশে নার্সারি গলিতে তিন শতাংশ জমি ক্রয় করে স্ত্রী সাহিদা ফেরদৌস ঝরনার নামে তৈরি করেছেন চার তলা আলিশান ভবন যাহার বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার বাড্ডা দক্ষিণ আনন্দ নগর সাইতানতলী মাস্টার বাড়ি মোড় এলাকায় জুবাইদুল ইসলাম জুবায়ের থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দামের ৯১০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট ক্রয় করেন স্ত্রীর নামে।যদিও উক্ত ভবন তৈরী করা হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর অনুমোদনবিহীন এমনকি ওই ভবনের মালিক জোবাইদুল ইসলাম জুবায়ের এর নির্মিত ভবনটিতে রয়েছে জাতীয় সম্পদ তিতাস গ্যাস এর অবৈধ সংযোগ জাতীয় সম্পদ এর অবৈধ ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সার্ভেয়ার ফেরদৌস আলম ব্যক্তি জীবনে তিন কন্যা সন্তানের জনক।বড় মেয়ের বিবাহ হয় ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে খরচ করেন কয়েক লক্ষ টাকা যাহা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাঙ্গাইল ভূয়াপুর এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান ফেরদৌস আলম একজন সার্ভেয়ার হয়ে সামান্য বেতনের চাকরি করে টাঙ্গাইল এলাকায় গড়ে তুলেছেন কয়েক কোটি টাকা মূল্য আলিশান ভবন এবং মেয়ের বিয়েতে খরচ করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা অনিয়ম দুর্নীতি ছাড়া মেয়ের বিয়েতে এত টাকা খরচ করা ও এত সম্পদের মালিক হওয়া কোনদিনই সম্ভব না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এলজিইডিতে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর থেকে অবসরে যান প্রায় বছর খানেক আগে অবসর কালিন সময়ে তার সর্বসাকুল্য বেতন ছিল ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু অবসরে যাওয়ার আগে তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন যাহা সরকারি চাকরি বিধিমেলার সাথে সাংঘর্ষিক।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সার্ভেয়ার ফেরদৌস আলম নিজ এলাকা ভুয়াপুরে নামে বেনামে করেছেন অঢেল সম্পদ। স্ত্রী ও কন্যার নামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর।
সুচতুর সার্ভেয়ার ফেরদৌস আলম অনিয়ন দুর্নীতির বিষয়ে জানতে তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে ধমক এর সুরে বলেন, আমি রাজউক অনুমোদন বিহীন ভবন থেকে ফ্ল্যাট কিনেছি, অবৈধ ভাবে জাতীয় সম্পদ গ্যাস ব্যবহার করছি এবং টাঙ্গাইলে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ভবন তৈরি করেছি তাতে আপনার কি আসে যায়। আপনি আমার কাছে এই সকল কিছু জানতে চাওয়ার কে? আমি আমার নিজের নামে কিছুই করিনি সবকিছু আমার স্ত্রীর নামে। সুতরাং এখানে দুদক কেনো অন্য কোন সংস্থা আমার কিছুই করতে পারবে না। এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে!
প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন পিআরএল এ যাওয়ার সময় আপনার সর্ব সাফল্যের বেতন ছিল ৩৩ হাজার টাকা, তাহলে আপনি কি করে এত সম্পদের মালিক হলেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর না দিয়ে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অনুসন্ধান চলমান, বিস্তারিত আগামী পর্বে