ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের এক বছরেও মিলেনি প্রকল্পের তথ্য Logo কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo বুড়িচ ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন Logo সরাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল Logo কিশোরগঞ্জে অপারেশন থিয়েটারে২ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ Logo পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo দেশের বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে কালক্ষেপন মেনে নেয়া হবে না-ক্যাব 

বনের জমিতে রাজেন্দ্র রিসোর্ট

কটেজ পার্কের অধিকাংশ বিল্ডিং বনের জায়গায়, কাটা হচ্ছে গাছ!

গাজীপুরের বন বিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে বনের জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয় ভূমিহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বন বিভাগের লোকজন বলছেন, শিগগিরই জমি থেকে ওই সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গাজীপুরের ভবানীপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ।
সরকারি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এখানে চলছে দখলের মহোৎসব।
নেই তাদের সরকারি অনুমোদন। প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে তাদের এই ব্যবসা।
এই রিসোর্টের কটেজ পার্ক এলাকার বেশির ভাগ বিল্ডিং বন বিভাগের জায়গার উপর নির্মিত।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বনের গাছপালার শুকনো একটি ডালপালায় হাত দিলে বন বিভাগের কর্মকর্তার খোঁজখবর নিয়ে মামলা দিয়ে থাকেন।
আমরা গরিব মানুষ, একটি টয়লেট করতে গেলেও বন বিভাগের লোকজন এসে ভেঙে মামলা দেন। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে থাকলেও বনের ভেতর একটি ছোট্ট খুপরি ঘর করার সাহস পাই না। অথচ বনের বিশাল এলাকা দখল করে ঘরে তোলা হয়েছে রিসোর্ট। এখানে উচ্চস্বরে চলে গানবাজনা, নাচানাচি। কই, এখানে তো বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নজর নেই। নজর শুধু গরিবের খুপরি ঘরে।’
স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হেকিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আইন শুধু গরিবের জন্য। বনের ভেতর গড়ে উঠেছে রিসোর্ট। এটা তো কেউ ভাঙতে আসেনি। সরকারি জমি দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ, আবার সেটা ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এখানে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাথা ব্যথা নেই। মাথা ব্যথা আমাদের জরাজীর্ণ ঘরের দিকে।’

ভেতরে ঢুকে কটেজে যাওয়ার রাস্তাও বন ঘেঁষে। রাস্তাটি নির্মাণের সময় কাটা হয়েছে বেশ কিছু ডালপালা। সেখানকার বাউন্ডারি ওয়ালের কিছু অংশও বনে পড়েছে।
ডিমারকেশনের খুঁটি ছাড়াই চলছে কাজ
এ ছাড়া এই রিসোর্টের উত্তর পাশে বনের ওপর দিয়ে আরেকটি রাস্তা করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিপূর্বে সেখান দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ায় প্রায় এক শতাংশ বন উজাড় হয়েছে।
রাস্তার জন্য বন উজাড়
কটেজ পার্কের কোথাও ডিমারকেশনের খুঁটি পাওয়া যায়নি। বন কর্মকর্তারা যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন ও পরিবেশ-প্রতিবেশ।
বনের ক্ষতি হচ্ছে অবাধে
বন বিভাগের একজন বলেন, বনের ভেতরে থাকা জোত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করলে অবশ্যই যৌথ ডিমারকেশন লাগবে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডের বা নিজস্ব রাস্তা ব্যতীত বনের ওপর দিয়ে রাস্তা করার সুযোগ নেই।
বনের ভেতর দিয়ে রাস্তা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট বিট অফিসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে প্রতিরোধ না করায় ক্ষতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বারুইপাড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সামসুদ্দিন বলেন, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টর বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। উচ্ছেদ অভিযান শীঘ্রই পরিচালনা করা হবে। জোর করলে মামলা দেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা

SBN

SBN

বনের জমিতে রাজেন্দ্র রিসোর্ট

কটেজ পার্কের অধিকাংশ বিল্ডিং বনের জায়গায়, কাটা হচ্ছে গাছ!

আপডেট সময় ০১:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

গাজীপুরের বন বিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে বনের জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয় ভূমিহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বন বিভাগের লোকজন বলছেন, শিগগিরই জমি থেকে ওই সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গাজীপুরের ভবানীপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ।
সরকারি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এখানে চলছে দখলের মহোৎসব।
নেই তাদের সরকারি অনুমোদন। প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে চলছে তাদের এই ব্যবসা।
এই রিসোর্টের কটেজ পার্ক এলাকার বেশির ভাগ বিল্ডিং বন বিভাগের জায়গার উপর নির্মিত।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বনের গাছপালার শুকনো একটি ডালপালায় হাত দিলে বন বিভাগের কর্মকর্তার খোঁজখবর নিয়ে মামলা দিয়ে থাকেন।
আমরা গরিব মানুষ, একটি টয়লেট করতে গেলেও বন বিভাগের লোকজন এসে ভেঙে মামলা দেন। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে থাকলেও বনের ভেতর একটি ছোট্ট খুপরি ঘর করার সাহস পাই না। অথচ বনের বিশাল এলাকা দখল করে ঘরে তোলা হয়েছে রিসোর্ট। এখানে উচ্চস্বরে চলে গানবাজনা, নাচানাচি। কই, এখানে তো বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নজর নেই। নজর শুধু গরিবের খুপরি ঘরে।’
স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হেকিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আইন শুধু গরিবের জন্য। বনের ভেতর গড়ে উঠেছে রিসোর্ট। এটা তো কেউ ভাঙতে আসেনি। সরকারি জমি দখল করে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ, আবার সেটা ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এখানে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাথা ব্যথা নেই। মাথা ব্যথা আমাদের জরাজীর্ণ ঘরের দিকে।’

ভেতরে ঢুকে কটেজে যাওয়ার রাস্তাও বন ঘেঁষে। রাস্তাটি নির্মাণের সময় কাটা হয়েছে বেশ কিছু ডালপালা। সেখানকার বাউন্ডারি ওয়ালের কিছু অংশও বনে পড়েছে।
ডিমারকেশনের খুঁটি ছাড়াই চলছে কাজ
এ ছাড়া এই রিসোর্টের উত্তর পাশে বনের ওপর দিয়ে আরেকটি রাস্তা করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিপূর্বে সেখান দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ায় প্রায় এক শতাংশ বন উজাড় হয়েছে।
রাস্তার জন্য বন উজাড়
কটেজ পার্কের কোথাও ডিমারকেশনের খুঁটি পাওয়া যায়নি। বন কর্মকর্তারা যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন ও পরিবেশ-প্রতিবেশ।
বনের ক্ষতি হচ্ছে অবাধে
বন বিভাগের একজন বলেন, বনের ভেতরে থাকা জোত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করলে অবশ্যই যৌথ ডিমারকেশন লাগবে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডের বা নিজস্ব রাস্তা ব্যতীত বনের ওপর দিয়ে রাস্তা করার সুযোগ নেই।
বনের ভেতর দিয়ে রাস্তা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট বিট অফিসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুরুতে প্রতিরোধ না করায় ক্ষতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বারুইপাড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সামসুদ্দিন বলেন, রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টর বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। উচ্ছেদ অভিযান শীঘ্রই পরিচালনা করা হবে। জোর করলে মামলা দেওয়া হবে।