
ডেস্ক রিপোর্ট
জ্যাকলিন কাব্য মূলত লেখক ও কবি হিসেবে পরিচিত। লালমনিরহাট জেলায় বেড়ে উঠা জ্যাকলিনের প্রকৃতিপ্রেম তাকে কাজ করতে শুরু করায় পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে পরবর্তীতে তিনি যুক্ত হয় সমাজসেবী কাজে। তার হাত ধরে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠে পাশাপাশি তিনি ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্ক ফোর্সে শিশু সাংবাদিকতা করেছেন। শিল্পমনষ্ক জ্যাকলিন জেলা শিল্পকলায় নৃত্য শেখার পাশাপাশি লেখালেখির নিয়মিত চর্চা করতেন সাহিত্য পরিষদে। জাতীয় মেধা অন্বেষণ, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় তিনি ভাষা, সাহিত্য , নৃত্য ও অভিনয়ে কয়েকবার জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে লড়েছেন জাতীয় পর্যায়ে।
২০১৮ সালে তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “কাব্যজয়” ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। পরবর্তীতে “প্রণয়ের দেবতা” ও “মানুষ মূলত মেঘের মতন ” নামে আরও দুটো কবিতার বই প্রকাশ পায়। মানুষ মূলত মেঘের মতন বইটি প্রকাশের পরে জ্যাকলিন কবিতার ভিজ্যুয়ালে কাজ করতে শুরু করেন যা সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে প্রশংসিত হয়। ক্যামেরার সামনে নিজেকে তুলে ধরতে উৎসাহ পায় তিনি। যুক্ত হন মডেলিংএর সাথে। ছবির প্রতি আকর্ষণ বাড়তে থাকে এবং নিয়মিত ফটোশুট ,মডেলিং করতে থাকেন। ব্রান্ড এম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেন কয়েকটি কোম্পানির সাথে। সম্প্রতি তিনি অভিনয়ের দিকে ঝুঁকছেন। কবিতা থেকে ছবির প্রতি আগ্রহর কারণ হিসেবে তিনি বলেন,
” একটি সুন্দর ছবি আমার কাছে একটা কবিতা ”
একজন নতুন মডেল ও অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার যাত্রা মোটেই সহজ নয়। তিনি জানান যে ,
‘প্রথমত আমাদের এই ভঙ্গুর সমাজে একজন মেয়ে হিসেবে কোনো সৃজনশীল কাজ করাই একটা চ্যালেঞ্জ তারপর নতুন মডেল হিসেবে আমাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাবের সম্মুখীন হতে হয়েছে পাশাপাশি সাইবার হ্যারেসমেন্ট তো আছেই। একজন নারীর কর্মক্ষেত্র সুসজ্জিত নয়। একজন নারীকে সমাজের সকল কলুষিত দৃষ্টির বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে হয় ‘