ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন

কবিতীর্থ দৌলতপুরে “নজরুল সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়”কারার দাবী

মুরাদনগর প্রতিনিধি: জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও নার্গিসের জন্মভূমি ও কবিতীর্থ কুমিল্লার দৌলতপুর আজও চরমভাবে অবহেলিত রয়ে গেছে। ১৯২১ সালে আলী আকবর খান আর কবি নজরুল কলকাতায় পাশাপাশি থাকতেন। আলী আকবর খান কবি নজরুলকে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুরে নিয়ে আসেন। বেড়াতে এসে আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা আসার খানমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি।
গভীর ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে ইরানি এক সাদা গুল্মপুষ্পের নামে কবি তার নাম দিলেন নার্গিস। কবি দৌলতপুরে বসেই ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। দীর্ঘ দুই মাসের আবেগঘন প্রেমের পর নার্গিসের সঙ্গে পরিণয়ের রাতেই এক অভিমানে কবি তাকে ত্যাগ করে চলে যান। তবে কবির মানসলোকে নার্গিস ছিলেন দীর্ঘকাল। ১৯৩৭ সালে কলকাতার চিৎপুর থেকে কবি নার্গিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘তোমার ওপর আমি কোনো জিঘাংসা পোষণ করি না এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা!

তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দিরের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে।’
কোম্পানীগঞ্জ ও নবীনগরের রাস্তার বাংগরা বাজার এর পরেই কবিতীর্থ দৌলতপুরের অবস্থান,এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির নামে হয়নি কোনো প্রতিষ্ঠান। নেই কবির একটি ম্যুরালও।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবির ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন, তারা কবিতীর্থ দৌলতপুরে কবি নজরুল নামে “সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়” স্হাপন করার জোর দাবি জানান। মাহমুদুল হাসান নিজামী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি, এম মিরাজ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আসলাম সানী, কবি মুজাহিদ পাটুয়ারী, নজরুল বাঙালি, এডভ্যোকেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্লা পলাশ, সিহাব রিফাত আলম, শামসুল হক বাবু, সাইফুর রহমান বকুল (নজরুল নিকেতন), একরামুল হক দিপু, কবি আলিম, কবি সাইফ সাদী,আনোয়ার হাছান খোকন, সাংবাদিক আশিক সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে জাতীয় কবিতা মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ ভারত, রাশিয়া, নেপালের আন্তর্জাতিক নজরুল গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ

SBN

SBN

কবিতীর্থ দৌলতপুরে “নজরুল সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়”কারার দাবী

আপডেট সময় ০২:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

মুরাদনগর প্রতিনিধি: জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও নার্গিসের জন্মভূমি ও কবিতীর্থ কুমিল্লার দৌলতপুর আজও চরমভাবে অবহেলিত রয়ে গেছে। ১৯২১ সালে আলী আকবর খান আর কবি নজরুল কলকাতায় পাশাপাশি থাকতেন। আলী আকবর খান কবি নজরুলকে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুরে নিয়ে আসেন। বেড়াতে এসে আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা আসার খানমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি।
গভীর ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে ইরানি এক সাদা গুল্মপুষ্পের নামে কবি তার নাম দিলেন নার্গিস। কবি দৌলতপুরে বসেই ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। দীর্ঘ দুই মাসের আবেগঘন প্রেমের পর নার্গিসের সঙ্গে পরিণয়ের রাতেই এক অভিমানে কবি তাকে ত্যাগ করে চলে যান। তবে কবির মানসলোকে নার্গিস ছিলেন দীর্ঘকাল। ১৯৩৭ সালে কলকাতার চিৎপুর থেকে কবি নার্গিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘তোমার ওপর আমি কোনো জিঘাংসা পোষণ করি না এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা!

তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দিরের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে।’
কোম্পানীগঞ্জ ও নবীনগরের রাস্তার বাংগরা বাজার এর পরেই কবিতীর্থ দৌলতপুরের অবস্থান,এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির নামে হয়নি কোনো প্রতিষ্ঠান। নেই কবির একটি ম্যুরালও।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবির ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন, তারা কবিতীর্থ দৌলতপুরে কবি নজরুল নামে “সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়” স্হাপন করার জোর দাবি জানান। মাহমুদুল হাসান নিজামী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি, এম মিরাজ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আসলাম সানী, কবি মুজাহিদ পাটুয়ারী, নজরুল বাঙালি, এডভ্যোকেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্লা পলাশ, সিহাব রিফাত আলম, শামসুল হক বাবু, সাইফুর রহমান বকুল (নজরুল নিকেতন), একরামুল হক দিপু, কবি আলিম, কবি সাইফ সাদী,আনোয়ার হাছান খোকন, সাংবাদিক আশিক সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে জাতীয় কবিতা মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ ভারত, রাশিয়া, নেপালের আন্তর্জাতিক নজরুল গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।