ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কাউখালীতে ভুমি উপ সহঃ কর্মকর্তা কামরুন নাহার’র বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

এম.ডি.এন.মাইকেল

পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলা ভূমি অফিসের আওতাধীন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: কামরুন নাহার কনা’র বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সূত্র ধরে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা’র সদ্য সাবেক কর্মস্থল ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিস ও বর্তমান কর্মস্থল কাউখালী উপজেলা ভূমি অফিস এলাকায় সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলে তাহার সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।

ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনার সদ্য সাবেক কর্মস্থল ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন(পৌরসভা) থাকাকালীন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, মিল্টন মুন্সি, দেলোয়ার মেম্বার, মৃত রহমান সিকদার এর ছেলে সজীব শিকদার,আক্তার হোসেন, আব্দুস সালাম গংরা এই প্রতিবেদককে জানান কামরুন নাহার আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ।

কামরুন নাহার কনা’র কাছে নামজারি করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ১১৭০ টাকা জমা দেওয়ার পরেও প্রত্যেকটি গ্রাহক থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।এখানে উল্লেখ থাকে যে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরেও কামরুন নাহারের চাহিদা মত উৎকোচ যে পর্যন্ত দেওয়া না হতো ঠিক ততদিন পর্যন্ত সেবা নিতে আশা গ্রাহকদের ফাইল বিভিন্ন তালবাহানার মাধ্যমে তিনি তার হেফাজতে রাখে গ্রাহকদের জিম্মি করে নিজের চাহিদা মতো ঘুষ হাসিল করতেন।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান কামরুন নাহার কনা যতদিন ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়নে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সেই সময়ে ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের মধ্যে একজন গ্রাহকও খুঁজে পাবেন না যেই গ্রাহক থেকে কামরুন্নাহার কনা সরকার নির্ধারিত ফি এর বাহিরে কোন প্রকার ঘুষ নেওয়া ছাড়া ওই গ্রাহকের নাম জারির কাজ করে দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ভান্ডারিয়া উপজেলার আওতাধীন সদর ইউনিয়ন (পৌরসভা) ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর শিকদার এই প্রতিবেদককে বলেন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুন নাহার কে আমি আমার নামজারির কাজে তার চাহিদা মত প্রথমে বারো হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি কিন্তু সে বারো হাজার টাকা নেওয়ার পরে পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে এই মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কামরুন্নাহার আমার থেকে আরও তিন হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে এই কথা আমি মসজিদের ভিতরে গিয়েও বলতে পারব।

পরবর্তীতে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার কনা’র বর্তমান কর্মস্থল কাউখালী উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সাথে কামরুন নাহার কনার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে গ্রাহকরা জানান কামরুন নাহার ম্যাডাম এর আগে ভান্ডারিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন (পৌরসভা) উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে সেখানকার গ্রাহকদের থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাহিরে ১০ হাজার ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা প্রতিটি নামজারির কাজে ঘুষ নিতেন, এমনকি কামরুন নাহার ম্যাডামকে তার চাহিদা মত ঘুষ না দিয়ে ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়নে কোন গ্রাহক কাজ করতে পারেনি বলে জানতে পেরেছি।

ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমিকা কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা তার ওই সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় কাউখালী উপজেলার মহসিন এর চৌরাস্তা নামক জায়গায় কোটি টাকা ব্যয় ৩৫০০ স্কয়ার ফিটের দোতলা আলিশান বাড়ী তৈরি করেন। অনুসন্ধান কালে কাউখালী মহসিন এর চৌরাস্তায় ইমাদ পরিবহন এর কাউন্টার মালিক এই প্রতিবেদককে জানান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক এবং কাউখালী মৌজায় নামে বেনাম রয়েছে তার বিদায় বিদায় সম্পত্তি।

মহসিন এর চৌরাস্তায় ইমাদ পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে গাভীর দুধ চা খেতে আসা স্থানীয় আবুল কালাম, মেহেদী হাসান, লিটন, শাকিল গংদের সাথে কামরুন নাহার কনার বিষয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন কামরুন নাহার কনা’র টাকার গরমে কারণে কাউখালী মৌজায় অন্য কেউ জায়গা কিনতে সাহস করে না।

কামরুন নাহার কনার বিষয়ে তার সামনের বাড়ির দুজন মুরব্বি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান কনা প্রত্যহ তার স্বামীকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন যাহা একটি সভ্য সমাজে কখনো কাম্য নয়, এত মানসিক নির্যাতন শারীরিক নির্যাতন সহ্য করার পরেও কনার স্বামী তাদের তিনটি কন্যা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সবকিছু নীরবে সহ্য করেন বলে মুরুব্বীরা জানান।

কাউখালী মহসিন এর চৌরাস্তার কামরুন নাহার কনার দোতলা আলিশান বাড়ির আশেপাশে বসবাসরত বাসিন্দারা এই প্রতিবেদককে জানান কনার স্বামী একসময় ইস্ট্যাং হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে উক্ত হাউজিং কোম্পানি থেকে অবসরে নিয়ে এখন বাড়িতেই বসবাস করছেন বেকার হিসেবে।

পরবর্তীতে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউখালী উপজেলা ভূমি অফিস আওতাধীন ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এ দেশে দুর্নীতি করে না কে? পরবর্তীতে প্রতিবেদক কামরুন নাহার কণার কাছে জানতে চান ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন আপনি যাদের থেকে নামজারির প্রতিটি কাজে ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ কুড়ি হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন সেই সকল ভুক্তভোগীদের সাথে সরজমিনে কথা বলে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য সংরক্ষিত করা হয়েছে, প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে কোন উত্তর না দিয়ে ব্যস্ত আছি বলে কামরুন্নাহার কনা মোটামুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ১৪৪/৪৫ ধারা সংক্রান্ত যেই সকল মামলার তদন্ত ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসে পাঠানো হতো সেই সকল তদন্তে দায়িত্ব পালনে কামরুন নাহার কনার সময়কালীন অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত আগামী পর্বে।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার নোয়াখালী অফিস উদ্বোধন

SBN

SBN

কাউখালীতে ভুমি উপ সহঃ কর্মকর্তা কামরুন নাহার’র বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

এম.ডি.এন.মাইকেল

পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলা ভূমি অফিসের আওতাধীন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসা: কামরুন নাহার কনা’র বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সূত্র ধরে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা’র সদ্য সাবেক কর্মস্থল ভান্ডারিয়া উপজেলা ভূমি অফিস ও বর্তমান কর্মস্থল কাউখালী উপজেলা ভূমি অফিস এলাকায় সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সাথে কথা বলে তাহার সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।

ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনার সদ্য সাবেক কর্মস্থল ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন(পৌরসভা) থাকাকালীন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, মিল্টন মুন্সি, দেলোয়ার মেম্বার, মৃত রহমান সিকদার এর ছেলে সজীব শিকদার,আক্তার হোসেন, আব্দুস সালাম গংরা এই প্রতিবেদককে জানান কামরুন নাহার আপাদমস্তক একজন দুর্নীতিবাজ।

কামরুন নাহার কনা’র কাছে নামজারি করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ১১৭০ টাকা জমা দেওয়ার পরেও প্রত্যেকটি গ্রাহক থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।এখানে উল্লেখ থাকে যে সরকার নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পরেও কামরুন নাহারের চাহিদা মত উৎকোচ যে পর্যন্ত দেওয়া না হতো ঠিক ততদিন পর্যন্ত সেবা নিতে আশা গ্রাহকদের ফাইল বিভিন্ন তালবাহানার মাধ্যমে তিনি তার হেফাজতে রাখে গ্রাহকদের জিম্মি করে নিজের চাহিদা মতো ঘুষ হাসিল করতেন।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান কামরুন নাহার কনা যতদিন ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়নে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সেই সময়ে ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের মধ্যে একজন গ্রাহকও খুঁজে পাবেন না যেই গ্রাহক থেকে কামরুন্নাহার কনা সরকার নির্ধারিত ফি এর বাহিরে কোন প্রকার ঘুষ নেওয়া ছাড়া ওই গ্রাহকের নাম জারির কাজ করে দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ভান্ডারিয়া উপজেলার আওতাধীন সদর ইউনিয়ন (পৌরসভা) ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর শিকদার এই প্রতিবেদককে বলেন ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুন নাহার কে আমি আমার নামজারির কাজে তার চাহিদা মত প্রথমে বারো হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি কিন্তু সে বারো হাজার টাকা নেওয়ার পরে পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে এই মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কামরুন্নাহার আমার থেকে আরও তিন হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে এই কথা আমি মসজিদের ভিতরে গিয়েও বলতে পারব।

পরবর্তীতে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার কনা’র বর্তমান কর্মস্থল কাউখালী উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সাথে কামরুন নাহার কনার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে গ্রাহকরা জানান কামরুন নাহার ম্যাডাম এর আগে ভান্ডারিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন (পৌরসভা) উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে সেখানকার গ্রাহকদের থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাহিরে ১০ হাজার ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা প্রতিটি নামজারির কাজে ঘুষ নিতেন, এমনকি কামরুন নাহার ম্যাডামকে তার চাহিদা মত ঘুষ না দিয়ে ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়নে কোন গ্রাহক কাজ করতে পারেনি বলে জানতে পেরেছি।

ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমিকা কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা তার ওই সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় কাউখালী উপজেলার মহসিন এর চৌরাস্তা নামক জায়গায় কোটি টাকা ব্যয় ৩৫০০ স্কয়ার ফিটের দোতলা আলিশান বাড়ী তৈরি করেন। অনুসন্ধান কালে কাউখালী মহসিন এর চৌরাস্তায় ইমাদ পরিবহন এর কাউন্টার মালিক এই প্রতিবেদককে জানান ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক এবং কাউখালী মৌজায় নামে বেনাম রয়েছে তার বিদায় বিদায় সম্পত্তি।

মহসিন এর চৌরাস্তায় ইমাদ পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে গাভীর দুধ চা খেতে আসা স্থানীয় আবুল কালাম, মেহেদী হাসান, লিটন, শাকিল গংদের সাথে কামরুন নাহার কনার বিষয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন কামরুন নাহার কনা’র টাকার গরমে কারণে কাউখালী মৌজায় অন্য কেউ জায়গা কিনতে সাহস করে না।

কামরুন নাহার কনার বিষয়ে তার সামনের বাড়ির দুজন মুরব্বি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান কনা প্রত্যহ তার স্বামীকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন যাহা একটি সভ্য সমাজে কখনো কাম্য নয়, এত মানসিক নির্যাতন শারীরিক নির্যাতন সহ্য করার পরেও কনার স্বামী তাদের তিনটি কন্যা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সবকিছু নীরবে সহ্য করেন বলে মুরুব্বীরা জানান।

কাউখালী মহসিন এর চৌরাস্তার কামরুন নাহার কনার দোতলা আলিশান বাড়ির আশেপাশে বসবাসরত বাসিন্দারা এই প্রতিবেদককে জানান কনার স্বামী একসময় ইস্ট্যাং হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে উক্ত হাউজিং কোম্পানি থেকে অবসরে নিয়ে এখন বাড়িতেই বসবাস করছেন বেকার হিসেবে।

পরবর্তীতে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউখালী উপজেলা ভূমি অফিস আওতাধীন ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুন নাহার কনা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এ দেশে দুর্নীতি করে না কে? পরবর্তীতে প্রতিবেদক কামরুন নাহার কণার কাছে জানতে চান ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন আপনি যাদের থেকে নামজারির প্রতিটি কাজে ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ কুড়ি হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন সেই সকল ভুক্তভোগীদের সাথে সরজমিনে কথা বলে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য সংরক্ষিত করা হয়েছে, প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে কোন উত্তর না দিয়ে ব্যস্ত আছি বলে কামরুন্নাহার কনা মোটামুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ১৪৪/৪৫ ধারা সংক্রান্ত যেই সকল মামলার তদন্ত ভান্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসে পাঠানো হতো সেই সকল তদন্তে দায়িত্ব পালনে কামরুন নাহার কনার সময়কালীন অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত আগামী পর্বে।
অনুসন্ধান চলমান,,,,,