ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থেকে ৯১ বোতল বিদেশী মদসহ ০১ জন গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম Logo কুমিল্লা ৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo কচুয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে তিন হাতুড়ে চিকিৎসকের জরিমানা Logo গাইবান্ধায় রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম, সিডিউল দেখতে চাওয়ায় তিন সাংবাদিকের উপর হামলা Logo প্লট বরাদ্দে অনিয়মের তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড (ভিডিও) Logo চাঁদপুর জেলা জজ কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন Logo নোয়াখালীতে নকলে ধরা খেয়ে বিদ্যালয়ের শৌচাগারে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা Logo ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত, বাড়ীঘর ভাংচুর Logo পবায় বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

কালীগঞ্জে ইকো ডায়াগনস্টিক ও ফাতেমা হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় উৎস ভট্টাচার্য্য নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কালীগঞ্জ শহরের ইকো ডায়াগনস্টিক ও ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

উৎস ভট্টাচার্য্য উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার উজ্জল ভট্টাচাযের্যর ছেলে। সে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

স্বজনরা জানায়, শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে স্থানীয় ফাতেমা প্রাঃ হাসপাতালে নাকের পলিপাস অপারেশন করতে যায় শহরের রায়গ্রামের মেধাবী ছাত্র উৎস ভট্টাচার্য্য। হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী রাজিবুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সকাল ৯ টার দিকে মারা যায় কলেজ ছাত্র উৎস। মারা যাওয়ার পরও উৎসকে যশোরে রেফার্ড করা হয় বলে অভিযোগ করে পরিবারের স্বজনরা।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসে নিহত উৎস ভট্টাচাযের্যর সহপাঠীরা। তারা প্রাইভেট হাসপাতালটি বন্ধের দাবি জানান। এসময় তারা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীদের বের করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সহপাঠীদের দাবির মুখে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিহতের বড় ভাই উন্মেষ ভট্টাচার্য্য জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ছোট ভাইকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাকের পলিপাস অপারেশন করানোর পর মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছিল তার ছোট ভাই। হঠাৎ খেয়াল করলাম স্যালাইন চলছে কিন্তু তার নিশ্বাস আর পড়ছে না। তখন হাসপাতালে দায়িত্বরতদের ডাক দিলে তারা কয়েকজন আসে। তারা বলে কিচ্ছু হয়নি ,অবশ হয়ে আছে। জ্ঞান ফিরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারা ভিডিওকলের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছিল। তখন কোন চিকিৎসক ছিল না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ভাইয়ের অবস্থা খারাপ দেখে বারবার বলা হয় যে পরামর্শ দেন কোথায় নিয়ে যাবো। কিন্তু তারা কিছুই হয়নি বলে বারবার আমাদের সময় নষ্ট করে। পরে একজন চিকিৎসক এসে বলে যশোরে নিয়ে যান। তখন আমার ভাই মারা গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অফিস খুললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিহতের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী বের করে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর বন্ধ করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থেকে ৯১ বোতল বিদেশী মদসহ ০১ জন গ্রেফতার

SBN

SBN

কালীগঞ্জে ইকো ডায়াগনস্টিক ও ফাতেমা হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় উৎস ভট্টাচার্য্য নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার কালীগঞ্জ শহরের ইকো ডায়াগনস্টিক ও ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

উৎস ভট্টাচার্য্য উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার উজ্জল ভট্টাচাযের্যর ছেলে। সে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

স্বজনরা জানায়, শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে স্থানীয় ফাতেমা প্রাঃ হাসপাতালে নাকের পলিপাস অপারেশন করতে যায় শহরের রায়গ্রামের মেধাবী ছাত্র উৎস ভট্টাচার্য্য। হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী রাজিবুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অপারেশন করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সকাল ৯ টার দিকে মারা যায় কলেজ ছাত্র উৎস। মারা যাওয়ার পরও উৎসকে যশোরে রেফার্ড করা হয় বলে অভিযোগ করে পরিবারের স্বজনরা।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসে নিহত উৎস ভট্টাচাযের্যর সহপাঠীরা। তারা প্রাইভেট হাসপাতালটি বন্ধের দাবি জানান। এসময় তারা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীদের বের করে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সহপাঠীদের দাবির মুখে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিহতের বড় ভাই উন্মেষ ভট্টাচার্য্য জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ছোট ভাইকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাকের পলিপাস অপারেশন করানোর পর মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছিল তার ছোট ভাই। হঠাৎ খেয়াল করলাম স্যালাইন চলছে কিন্তু তার নিশ্বাস আর পড়ছে না। তখন হাসপাতালে দায়িত্বরতদের ডাক দিলে তারা কয়েকজন আসে। তারা বলে কিচ্ছু হয়নি ,অবশ হয়ে আছে। জ্ঞান ফিরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারা ভিডিওকলের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছিল। তখন কোন চিকিৎসক ছিল না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ভাইয়ের অবস্থা খারাপ দেখে বারবার বলা হয় যে পরামর্শ দেন কোথায় নিয়ে যাবো। কিন্তু তারা কিছুই হয়নি বলে বারবার আমাদের সময় নষ্ট করে। পরে একজন চিকিৎসক এসে বলে যশোরে নিয়ে যান। তখন আমার ভাই মারা গেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অফিস খুললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিহতের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী বের করে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর বন্ধ করা হয়েছে।