ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নওগাঁয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo উচ্চমানের উন্মুক্ততা ও বৈশ্বিক সহযোগিতায় চীনের প্রতিশ্রুতি Logo জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের সংগ্রামচিত্র : ৭৩১ Logo লুব্লিয়ানায় স্লোভেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র বৈঠক Logo মার্কিন চিপের বিরুদ্ধে চীনের তদন্তকে সমর্থন করল সিএসআইএ Logo বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ বিশ্বজুড়ে সমর্থনের কেন্দ্রবিন্দু Logo গাইবান্ধায় প্রস্তাবিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন Logo চান্দিনায় যুবদল নেতার নিয়ন্ত্রণে চলে ড্রেজার Logo ফাঁদসহ ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা উদ্ধার : আটক -১ Logo ঢাকা ওয়াসায় স্বৈরাচারের দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে

কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, গাজীপুর (কালীগঞ্জ) উপজেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে প্রায় আড়াইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মেলার প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা মাছ কিনতে জামাইদের প্রতিযোগিতা। এ মেলাকে মাছের মেলাও বলা হয়ে থাকে। মেলা কমিটির সভাপতি জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কিশোর আকন্দ জানান, প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ এ মেলা বসে। দিনটির জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সারা বছর অপেক্ষায় থাকে। কারণ জামাই মেলার মূল আকর্ষণই হলো জামাইদের বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতা।
বিনিরাইল ও এর আশপাশের গ্রামে যারা বিয়ে করেছেন সে সব জামাই এই মেলার মূল ক্রেতা। জামাইরা চান সবচেয়ে বড় মাছটি কিনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে। আবার মেয়ে-জামাইকে আপ্যায়ন করতে শ্বশুরেরাও মেলা থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে যান বাড়িতে। মাছ ছাড়াও মেলায় হরেক রকম পণ্য বিক্রি হয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারী) মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মেলায় এসেছেন। নানা বয়সী হাজার হাজার ক্রেতার ঢল নামে মেলায়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাছ উপরের দিকে তুলে ধরছেন বিক্রেতারা।
স্থানীয়রা জানান, শুধু এ উপজেলার লোকই নয়, আনন্দের এ মেলা উপভোগ করতে টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকেও ছুটে এসেছেন অনেকে। এবারের মেলায় প্রায় চার শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি প্রজাতির মাছ নিয়ে এসেছেন। মাছের মধ্যে ছিল সামুদ্রিক চিতল, বাঘাইড়, আইড়, বোয়াল, কালিবাউশ, পাবদা, গুলশা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইক্কা, রূপচাঁদাসহ নানা জাতের দেশি মাছ। মাছ ছাড়াও মেলায় আসবাব, খেলনা, মিষ্টি ইত্যাদির দোকানও ছিল প্রচুর।
কিশার আকন্দ জানান, প্রায় ২৫০ বছর ধরে এ মেলার আয়োজন হয়। শুরুতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে হতো। প্রথমে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই মেলার আয়োজন করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলাটি এখন সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারক। মেলায় বেচাকেনা যাই হোক, এ মেলা আমাদের ঐতিহ্য আর কৃষ্টি-কালচার বহন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল

আপডেট সময় ১২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, গাজীপুর (কালীগঞ্জ) উপজেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে প্রায় আড়াইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মেলার প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা মাছ কিনতে জামাইদের প্রতিযোগিতা। এ মেলাকে মাছের মেলাও বলা হয়ে থাকে। মেলা কমিটির সভাপতি জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কিশোর আকন্দ জানান, প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ এ মেলা বসে। দিনটির জন্য উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সারা বছর অপেক্ষায় থাকে। কারণ জামাই মেলার মূল আকর্ষণই হলো জামাইদের বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতা।
বিনিরাইল ও এর আশপাশের গ্রামে যারা বিয়ে করেছেন সে সব জামাই এই মেলার মূল ক্রেতা। জামাইরা চান সবচেয়ে বড় মাছটি কিনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে। আবার মেয়ে-জামাইকে আপ্যায়ন করতে শ্বশুরেরাও মেলা থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে যান বাড়িতে। মাছ ছাড়াও মেলায় হরেক রকম পণ্য বিক্রি হয়।
রোববার (১৫ জানুয়ারী) মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় মাছ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মেলায় এসেছেন। নানা বয়সী হাজার হাজার ক্রেতার ঢল নামে মেলায়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাছ উপরের দিকে তুলে ধরছেন বিক্রেতারা।
স্থানীয়রা জানান, শুধু এ উপজেলার লোকই নয়, আনন্দের এ মেলা উপভোগ করতে টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকেও ছুটে এসেছেন অনেকে। এবারের মেলায় প্রায় চার শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি প্রজাতির মাছ নিয়ে এসেছেন। মাছের মধ্যে ছিল সামুদ্রিক চিতল, বাঘাইড়, আইড়, বোয়াল, কালিবাউশ, পাবদা, গুলশা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইক্কা, রূপচাঁদাসহ নানা জাতের দেশি মাছ। মাছ ছাড়াও মেলায় আসবাব, খেলনা, মিষ্টি ইত্যাদির দোকানও ছিল প্রচুর।
কিশার আকন্দ জানান, প্রায় ২৫০ বছর ধরে এ মেলার আয়োজন হয়। শুরুতে খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে হতো। প্রথমে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই মেলার আয়োজন করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলাটি এখন সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারক। মেলায় বেচাকেনা যাই হোক, এ মেলা আমাদের ঐতিহ্য আর কৃষ্টি-কালচার বহন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।