ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বুড়িচংয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন জুলাই ৩৬ সংক্রান্ত, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য শূন্যতার প্রচার অভিযান ও পুরষ্কার বিতরণ Logo লাকসাম জুয়েলারি সমিতির পরিচিতি সভা ও সংবর্ধনা Logo লাকসামে অগ্নিকাণ্ডে  তিন পরিবারের  নয়টি ঘর পুড়ে ছাই Logo সাজেকে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩ Logo কুমিল্লায় উষসী পরিষদের আলোচনা ও কবিতা পাঠের আসর Logo চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা Logo দেশব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি অভিযানে সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের এক বছরেও মিলেনি প্রকল্পের তথ্য Logo কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অধ্যাপিকার মৃত্যু

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)

গাজীপুরের কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপিকার মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনকরা হয়েছে। নিহত মুক্তা রানী দে (৩৩) কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মুকুল চন্দ্র দে এর একমাত্র কন্যা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ নভেম্বর) উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মুকুল চন্দ্র দে এর একমাত্র কন্যা ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মুক্তা রানী দে (৩৩) এর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা শুরু হয়। কিশোরগঞ্জের স্বামী শ্রীকান্ত সরকার তাকে সিজার করানোর জন্য কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত ডা. মো. মাঈনুল ইসলাম নিজেই অজ্ঞানের ইনজেকশন দিয়ে তাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে সিজার শেষে ডাক্তার একটি পুত্র সন্তান পরিবারের কাছে দেয়। পরে তিনি স্বামী শ্রীকান্ত ও পরিবারকে জানান মুক্তার জরায়ু সমস্যায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে মুক্তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় রেখে তিনি জামালপুরের একটি হাসপাতালে আরেক প্রসূতির অপারেশন করতে যান। সেখান থেকে ফিরে মুক্তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি দেখে তাকে উত্তরার এ আর কে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করে সেখানে পাঠান। এ আর কে হাসপাতালে মুক্তার চিকিৎসার অবনতি দেখা দিলে তাকে অন্যত্র রেফার্ড করেন। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তা দে এর মৃত্যু হয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালেন্ট ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা মুকুল চন্দ্র দে বলেন, আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক জেনেও ডাক্তার মো. মাঈনুল ইসলাম রোগী ফেলে রেখে জামালপুর এলাকায় অন্য একটি ক্লিনিকে প্রসূতির অপারেশন করতে চলে গেলেন। তিনি দেরী করে মুক্তাকে রিলিজ দেওয়ার কারণে মুক্তার মৃত্যু হয়েছে। যথা সময়ে আমার মেয়েকে রিলিজ দিলে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়ত ঈশ্বরের কৃপায় বেচে যেতে পারতো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার মো. মাঈনুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে একাধিক কল করেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মনজুর এ এলাহী বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনা তদন্তে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী কনসালটেন্ড ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে প্রধান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী দশ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বুড়িচংয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন জুলাই ৩৬ সংক্রান্ত, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য শূন্যতার প্রচার অভিযান ও পুরষ্কার বিতরণ

SBN

SBN

কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অধ্যাপিকার মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:০০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)

গাজীপুরের কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপিকার মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনকরা হয়েছে। নিহত মুক্তা রানী দে (৩৩) কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মুকুল চন্দ্র দে এর একমাত্র কন্যা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ নভেম্বর) উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মুকুল চন্দ্র দে এর একমাত্র কন্যা ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মুক্তা রানী দে (৩৩) এর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা শুরু হয়। কিশোরগঞ্জের স্বামী শ্রীকান্ত সরকার তাকে সিজার করানোর জন্য কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত ডা. মো. মাঈনুল ইসলাম নিজেই অজ্ঞানের ইনজেকশন দিয়ে তাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে সিজার শেষে ডাক্তার একটি পুত্র সন্তান পরিবারের কাছে দেয়। পরে তিনি স্বামী শ্রীকান্ত ও পরিবারকে জানান মুক্তার জরায়ু সমস্যায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে মুক্তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় রেখে তিনি জামালপুরের একটি হাসপাতালে আরেক প্রসূতির অপারেশন করতে যান। সেখান থেকে ফিরে মুক্তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি দেখে তাকে উত্তরার এ আর কে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করে সেখানে পাঠান। এ আর কে হাসপাতালে মুক্তার চিকিৎসার অবনতি দেখা দিলে তাকে অন্যত্র রেফার্ড করেন। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তা দে এর মৃত্যু হয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালেন্ট ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা মুকুল চন্দ্র দে বলেন, আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক জেনেও ডাক্তার মো. মাঈনুল ইসলাম রোগী ফেলে রেখে জামালপুর এলাকায় অন্য একটি ক্লিনিকে প্রসূতির অপারেশন করতে চলে গেলেন। তিনি দেরী করে মুক্তাকে রিলিজ দেওয়ার কারণে মুক্তার মৃত্যু হয়েছে। যথা সময়ে আমার মেয়েকে রিলিজ দিলে উন্নত চিকিৎসা করলে হয়ত ঈশ্বরের কৃপায় বেচে যেতে পারতো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার মো. মাঈনুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে একাধিক কল করেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মনজুর এ এলাহী বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনা তদন্তে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী কনসালটেন্ড ডাক্তার সানজিদা পারভীনকে প্রধান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী দশ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।