ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীন-যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যুতে প্রাথমিক ঐকমত্যে Logo আসিয়ান-প্লাস সহযোগিতা পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি: লি ছিয়াং Logo উদ্ভাবন, উন্মুক্ততা ও ভাগ করা উন্নয়ন: ওয়াশিংটনে সিএমজি’র বৈশ্বিক সংলাপ Logo ভারত-চীন ফ্লাইট পুনরায় চালু: চার বছর পর আকাশে নতুন সংযোগ Logo চট্টগ্রামে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী নিহত Logo জাজিরায় সমন্বয়ক পরিচয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২ Logo জাতির প্রত্যাশা পূরণে ড. ইউনুস কথা রাখবেন Logo ৫ দফার দাবীতে চাঁদপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ Logo কলেজ ছাত্রকে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ, ৭ দিন পর মৃত্যু Logo শাহরাস্তির টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

কিউবার প্রেসিডেন্টের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের হাভানায় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাসকেও ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।

এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কো রুবিও অভিযোগ করেন, কিউবা সরকার দুর্নীতিতে জড়িত, বিশেষ করে ২০২১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও হাভানার সংঘর্ষের ঘটনায়।

তিনি লেখেন, কিউবান সরকারের প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম দমন-পীড়নের চার বছর পূর্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর কিউবান শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করছে।

কিউবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কিউবার অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দেয়, যাতে সরকার পতনের পরিবেশ তৈরি হয়।

এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিনজন কিউবান বিচারক ও এক প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও অধিকারকর্মী লুইস রোবলেসকে কারাদণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রায় পাঁচ বছর কারাভোগের পর রোবলেস মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, ১৯৬০-এর দশক থেকে কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের কিউবার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা উল্টে দেন এবং চলতি বছর কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসে মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।

কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের “সাম্রাজ্যবাদী ও হস্তক্ষেপমূলক” নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছে।

রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছে। মে মাসে কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিউবার বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অবৈধ’ অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

সূত্র : এপি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যুতে প্রাথমিক ঐকমত্যে

SBN

SBN

কিউবার প্রেসিডেন্টের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১১:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের হাভানায় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাসকেও ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।

এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কো রুবিও অভিযোগ করেন, কিউবা সরকার দুর্নীতিতে জড়িত, বিশেষ করে ২০২১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও হাভানার সংঘর্ষের ঘটনায়।

তিনি লেখেন, কিউবান সরকারের প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম দমন-পীড়নের চার বছর পূর্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর কিউবান শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করছে।

কিউবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কিউবার অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দেয়, যাতে সরকার পতনের পরিবেশ তৈরি হয়।

এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র তিনজন কিউবান বিচারক ও এক প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও অধিকারকর্মী লুইস রোবলেসকে কারাদণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রায় পাঁচ বছর কারাভোগের পর রোবলেস মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, ১৯৬০-এর দশক থেকে কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের কিউবার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা উল্টে দেন এবং চলতি বছর কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসে মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।

কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের “সাম্রাজ্যবাদী ও হস্তক্ষেপমূলক” নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছে।

রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছে। মে মাসে কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিউবার বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অবৈধ’ অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

সূত্র : এপি।