ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে গাছ কাটতে বাধা সংবাদের পর ওসি লিটনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

মোঃ সোহেল মিয়া

বসতবাড়ির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার।

বুধবার (২৫ জুন) বিকালে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) পত্রিকায় ‘বসতবাড়ির গাছ কাটতে বাধা, ওসির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নজরে আসে। পরে তাৎক্ষণিক তিনি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ পেয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।

ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ লিটন মিয়ার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাসকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার আওতাধীন আঠারবাড়ি রেল স্টেশনের নিকটে উত্তর বনগাঁও এলাকার রতন মিয়া বসতবাড়ি অবস্থিত। আজ থেকে দশ বছর আগে রতন মিয়া রেলওয়ের সীমানা থেকে সাত ফুট দূরে নিজের মালিকানাধীন বসতবাড়ির চৌহদ্দিতে দুইটি রেন্ট্রি গাছ রোপণ করেন। গাছ রোপণের পর উক্ত দশ বছরের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের কেউ গাছ লাগানো নিয়ে কোন অভিযোগ করেনি।

এ অবস্থায় গত (১৭ জুন) মঙ্গলবার নতুন ঘর নির্মাণের প্রয়োজনে গাছ দুটি কেটে ফেলা হয়। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার দুইজন পুলিশ সদস্য বাড়িতে এসে রেলের জমিতে গাছ কাটার অভিযোগ এনে থানায় যেতে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক পরদিন বুধবার রতন মিয়ার প্রতিবন্ধী স্ত্রী কমলা বেগম এবং মেয়ের জামাই দীন ইসলামকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় আসেন। থানায় যাওয়ার পর ওসি লিটন মিয়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ভয় দেখিয়ে জেল-জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদান করেন।

এ সময় তাদেরকে ওসি লিটনের সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ১০ হাজার টাকা দিতে বললে কমলা বেগম তিন হাজার টাকা দেন এবং মেয়ের জামাই মোবাইল থেকে দুই হাজার টাকা তুলে মোট ৫ হাজার টাকা ওসি লিটনের হাতে দেন। পরে বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলামকে ওসি মোঃ লিটন মিয়া ফোন দিয়ে বলেন গাছ কাটতে আর কোনো সমস্যা নেই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে গাছ কাটতে বাধা সংবাদের পর ওসি লিটনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় ১১:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

মোঃ সোহেল মিয়া

বসতবাড়ির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার।

বুধবার (২৫ জুন) বিকালে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) পত্রিকায় ‘বসতবাড়ির গাছ কাটতে বাধা, ওসির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নজরে আসে। পরে তাৎক্ষণিক তিনি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ পেয়ে একটি চিঠি পেয়েছি।

ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ লিটন মিয়ার চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাসকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার আওতাধীন আঠারবাড়ি রেল স্টেশনের নিকটে উত্তর বনগাঁও এলাকার রতন মিয়া বসতবাড়ি অবস্থিত। আজ থেকে দশ বছর আগে রতন মিয়া রেলওয়ের সীমানা থেকে সাত ফুট দূরে নিজের মালিকানাধীন বসতবাড়ির চৌহদ্দিতে দুইটি রেন্ট্রি গাছ রোপণ করেন। গাছ রোপণের পর উক্ত দশ বছরের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের কেউ গাছ লাগানো নিয়ে কোন অভিযোগ করেনি।

এ অবস্থায় গত (১৭ জুন) মঙ্গলবার নতুন ঘর নির্মাণের প্রয়োজনে গাছ দুটি কেটে ফেলা হয়। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার দুইজন পুলিশ সদস্য বাড়িতে এসে রেলের জমিতে গাছ কাটার অভিযোগ এনে থানায় যেতে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক পরদিন বুধবার রতন মিয়ার প্রতিবন্ধী স্ত্রী কমলা বেগম এবং মেয়ের জামাই দীন ইসলামকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় আসেন। থানায় যাওয়ার পর ওসি লিটন মিয়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ভয় দেখিয়ে জেল-জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদান করেন।

এ সময় তাদেরকে ওসি লিটনের সাথে থাকা এক পুলিশ সদস্য ১০ হাজার টাকা দিতে বললে কমলা বেগম তিন হাজার টাকা দেন এবং মেয়ের জামাই মোবাইল থেকে দুই হাজার টাকা তুলে মোট ৫ হাজার টাকা ওসি লিটনের হাতে দেন। পরে বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়ের জামাই দ্বীন ইসলামকে ওসি মোঃ লিটন মিয়া ফোন দিয়ে বলেন গাছ কাটতে আর কোনো সমস্যা নেই।