
মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
অদ্য ২০/১০/২৫ খ্রিঃ সময় ১১.০৫ ঘটিকায় ঢাকা হতে কিশোরগঞ্জে আগত ৭৩৭ নং এগারোসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনটি অত্র কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানাধীন সরারচর রেলওয়ে স্টেশন হতে
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসার পথে ট্রেনের যাত্রীরা এক বগি থেকে অন্য বগিতে যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ থাকায় দরজা খোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি করিলে আসামী ০১।মোঃ আলমগীর খা (৩৪), পিতা-মৃত এলাহী নেওয়াজ, মাতা-মোছাঃ রাহেলা খাতুন, সাং-কাটাখুশিয়া, থানা- কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনা। দরজা খুলে কি সমস্যা বলে আবার জোড় পূর্বক দরজায় ধাক্কা মারিলে যাত্রীর বাম হাতের আঙ্গুলে আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং উক্ত আসামী আবারো দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা দরজা খুলে দিলে তাকে দরজা লাগিয়ে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি যাত্রীদ্বয়ের উপর উত্তেজিত হয়ে কিল ঘুসি মারে এবং সে পরিচয় দেয় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য,
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নামার পর ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী এসে উক্ত যাত্রীদের ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ট্রেনে টিজি ডিউটিরত পুলিশ সদস্য সহ কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে নামার পর কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশ উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে সেনা সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আইডি কার্ড দেখাতে বললে সে আইডি কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে তার গ্রামের ইউপি মেম্বারের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করিলে তিনি কোনো বাহিনীতে চাকুরী করেন না মর্মে জানা যায়। তার পড়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো লাগানো হাফ হাতা গেঞ্জি ও লোগো লাগানো ক্যাপ ছিল এবং সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো লাগানো ব্যাগ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে আলামত জব্দ পূর্বক উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে অত্র কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু সহ আইনগত কার্যক্রম চলমান আছে।