
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের কুড়িগ্রাম-৪ (আসন ২৮)। দীর্ঘদিন ধরে আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রভাব থাকলেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মমতাজ হোসেন লিপি নতুন সম্ভাবনার আলো জ্বালাচ্ছেন। দলীয় পুরুষ প্রার্থীদের পেছনে ফেলে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিএনপির পক্ষে জনমত গড়ে তুলছেন।
রৌমারীর এই নারী নেত্রী বিগত রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়েও আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। দলের সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে কঠিন সময়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে তিনি নিজেকে সাহসী ও সংগ্রামী নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুরের একমাত্র নারী নেতৃত্ব হিসেবে স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচিত “অগ্নিকন্যা” নামে।
মমতাজ হোসেন লিপি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তার পিতা আলহাজ্ব গোলাম হোসেন মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জাতীয় সংসদের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। পরিবারের দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং নিজস্ব ভোটব্যাংক তার জন্য বড় শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
১৯৭৯ সালে রৌমারীর বারবান্দা গ্রামে জন্ম নেওয়া লিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, রৌমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা দলের সদস্য।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি ইতোমধ্যে দুর্গম চরাঞ্চলসহ সর্বত্র প্রচারণা চালাচ্ছেন। তৃণমূল মানুষের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংযোগ স্থাপন এবং নারী নেতৃত্বের স্বতন্ত্র অবস্থান তাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। স্থানীয়ভাবে অনেকেই মনে করেন, সঠিক জরিপ ও বাস্তব মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিএনপি যদি তাকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়, তবে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি’র দখলে থাকা কুড়িগ্রাম-৪ আসনটি ঘুরে দাঁড়াতে পারে বিএনপির জন্য।
বিএনপির মনোনয়ন পেলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপি দলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জয়ী প্রার্থী হয়ে উঠতে পারেন।