
এ জে সোহেল, ষ্টাফ রিপোর্টার
জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
রবিবার (৯ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা থেকে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া আইন না মানার হার ও বাড়ছে বলে জানা গেছে। বেড়েছে চুরি-ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। এছাড়াও বেড়েছে মাদক চোরাচালান ও অপব্যবহারের ঘটনাসহ খুন ও নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনা।
জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভায় পরিসংখ্যান অনুযায়ি জানানো হয়, গত জানুয়ারি মাসে কুমিল্লা জেলায় ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ১টি, গতমাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। জানুয়ারি মাসের তুলনায় গতমাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে ৩টি।
এছাড়া, জানুয়ারি মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৮টি, গত মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি। জানুয়ারি মাসের তুলনায় গতমাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে ৭টি। এছাড়া, গতমাসের তুলনায় খুন বেড়েছে ৫টি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে ২টি৷
জেলা পুলিশ সুপার জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কুমিল্লায় মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। কুমিল্লা জেলা পুলিশের ১০টি টিম রাতে মহাসড়কে কাজ করছে। বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের গাড়ি আমরা এক জায়গায় জড়ো করে গার্ড দিয়ে তাদেরকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, যারা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদেরকে আমরা ছাড় দিবো না। আমরা সাথে সাথেই এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিছু কিছু বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, মাদক ও চোরাচালান রোধে বিভিন্ন চেকপোস্ট স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত আইন প্রয়োগ করছি। কিন্তু, আইন না মানার হার কম। সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
সভায় গোমতী বাধে মাটি কাটা নিয়ে আলোচনা হয়, এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় বাজেট এবং লোকবল সংকটের কথা। সদর উপজেলার ইউএনও জানান, প্রত্যেক বছর র্যামগুলি কেটে দেয়া হয়, কিন্তু এবছরের না কাটার ফলে মাটি কাটার প্রবণতা বাড়ছে।
উক্ত সভায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।