
সৌরভ মাহমুদ হারুন
কুমিল্লার শাসন গাছায় সিএনজি যোগে কলেজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দেহ থেকে হাত বিছিন্ন হওয়ার এক বছর ১৬ দিন পর মারা গেলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র জুলফিকার নাঈম। তিনি ১৫ মার্চ রোববার রাতে তার বন্ধু কে নিয়ে রাতে সেহেরী খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে বন্ধু ঘুম থেকে উঠে তার বাসায় ফিরে যায় কিন্তু নাঈম জেগে না উঠায় তার মা ডেকে উঠাতে গিয়ে দেখেন সে মারা গেছে।
তার খালাত বোন জানায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়ন এর জিরুইন গ্রামের বিল্লাল হোসেন ওমান প্রবাসীর এক ছেলে জুলফিকার নাঈম (২১) এবং এক মেয়ে জান্নাতুল রিয়া (১৫)। প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা আক্তার ছেলে মেয়ে দুজনকে নিয়ে তিনি বুড়িচং উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়। গত বছর ২০২৪ ইং সনের ২০ ফেব্রুয়ারী জুলফিকার নাঈম বুড়িচং থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে সিএনজি যোগে যাচ্ছিল সামনের সিটে বসে। এসময় কুমিল্লা শাসন গাছা পৌছলে একটি অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে এসে বিকট শব্দে ৩ বার ধাক্কা দেয়। আর এ পুরো ধাক্কা নাঈমের হাতের উপর লেগে তার ডান হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর তাকে দীর্ঘ চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলে এবং নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়া করতে থাকে। তার খালাত বোন আরও জানান দেহ থেকে হাত বিছিন্ন হওয়ার পর জুলফিকার নাঈম মানসিক ভাবে চরম ভেঙে পড়ে। সার্বক্ষণিক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকত। রোববার রাতে সেহেরী খেয়ে বন্ধুর সাথে ঘুমিয়ে পড়লে ও তার বন্ধু সকালে ঘুম থেকে জেগে বাসায় চলে গেলেও সে চির নিদ্রায় সাহিত হয়।
তার মা নাজমা বেগম ও বোন জান্নাতুল রিয়া বেলা সাড়ে ১১ টায় ঘুম থেকে জেগে উঠাতে গিয়ে দেখেন নাঈম আর নেই। মৃত্যুর খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে পড়ে। রোববার রাত সাত টায় বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের সামনে প্রথম জানাজা, ২য় জানাজা তার নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়ন এর জিরুইন বড় মসজিদের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।