ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি Logo বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন Logo গাইবান্ধায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo দুর্নীতির দায়ে ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যানে পদ শূন্য ঘোষণা

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব

SBN

SBN

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।