ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের Logo তাইওয়ান নিয়ে জাপান সরকারের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ Logo রাজশাহীর জজ পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান

SBN

SBN

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১২:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। দুই কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

 

অডিওতে শোনা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে সরাসরি গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। এ অডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনিক শৃঙ্খলা, আচরণবিধি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

অডিওতে আরও শোনা যায়, কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন; কিন্তু অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বারবার তার কথার মধ্যে বাধা দেন এবং রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন- ‘তুমি বেয়াদবি করছো’। এ সময় আরও বলেন- ‘আমি তোমাকে এখনই গ্রেফতার করতে পারি।’ এ ধরনের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলখানার পেছনে আমাদের ডিসি পার্কের কাজ চলছিল। তারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে এসে জেল সুপারের নির্দেশে ভেকুওয়ালাকে মারধর করেছে। আমাদের স্টাফ যাওয়ার পর তাকেও মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে এডিসি এবং এনডিসি ঘটনাস্থলে যান।

তিনি বলেন, এডিসি সাহেব তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। ওনার লোকজনকে নিয়ে এ কথাগুলো বলেছে। তখন জেল সুপার কথাগুলো রেকর্ড করেছেন। এ রেকর্ড বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল করেছেন।