
এ জে সোহেল, ষ্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লায় আয়োজনকৃত মেলা গুলি কি জৌলুস হারাচ্ছে? এইতো মাত্র সেদিন সেনাবাহিনীর জায়গা ব্যবহার করে লটারির নামে জুয়ার আসর বসিয়ে সর্বস্বান্ত করার অনবদ্য এক উদাহরণ তৈরি করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের ২৭ জুন দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকায় বানিজ্য মেলার উপর একটি বিশেষ ফিচার প্রচার করা হয়। এই মেলাকে কেন্দ্র করে চুরি ছিনতাই ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পত্রপত্রিকায় ব্যাপক প্রতিবাদ জানিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়। সাল ২০২৫ এর ডিসেম্বর মাস অর্থাৎ বিজয়ের মাস অতএব বিজয় মেলা আয়োজন হবেই তাই বলে মানুষকে সর্বশান্ত করার অভিযোগে আলোচিত কুমিল্লা টাউন হল মাঠের সেই বিল্লালই এবার ‘বিজয় মেলা’ নামে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনাকে সামনে রেখে আয়োজনের বদলে বাস্তবে এটি একটি পুরোপুরি বাণিজ্য মেলায় রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত স্টল বরাদ্দ ফি যেখানে মাত্র ৪ হাজার টাকার আশেপাশে, সেখানে আয়োজক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। টাউনহলের মতো জায়গায় এ ধরনের উদাহরন বিরল। অতিরিক্ত টাকা না দিলে স্টল বরাদ্দ মিলেই না নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক উদ্যোক্তা জানান।
কেউ কেউ জানান, চুক্তিপত্র ছাড়াই নগদ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অতীতে এর আগেও একই ব্যক্তি জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারণ মানুষকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সে সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং আবারও টাউন হল মাঠের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থানে বিজয় মেলার নামে বাণিজ্যিক আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক অনিয়ম ও অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। অতীতের অভিজ্ঞতায় জানা যায় মেলাতে বা মেলাকে কেন্দ্র করে বহু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হয় এরাই ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এবং স্থানীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় সাথে প্রচুর উদ্যোক্তা তৈরি হয়। সচেতন মহল জানায়, অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একই ব্যক্তিকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এতে করে উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করার অভিপ্রায় মাত্র।
বাংলার জনপদে মেল আয়োজন একটি ভাবমূর্তি প্রকাশ মাত্র। এ ধরনের মেলা আয়োজনে আরো পরিচ্ছন্ন উদ্যোক্তাদেরকে দিয়ে পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ থেকে বয়ঃবৃদ্ধ সহ অনেকেই পাশাপাশি ইনস্টল বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ আইনানুগভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 






















