ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে Logo চীন-জর্জিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হচ্ছে : জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী Logo কিস্তির জন্য গৃহবধূর আংটি-বদনা নিয়ে গেলেন এনজিওকর্মী Logo লাকসামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবীতে বিসিএস প্রভাষকদের মানবন্ধন Logo কাচপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ হাজার কেজি জাটকা জব্দ Logo মালদ্বীপে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo বিএনপির ৬২ জন কর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান Logo গলায়, নাকে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন, ব্রাহ্মণপাড়ায় কন্যা শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু Logo সেন্টমার্টিনে ১ টি অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জন আটক

কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রেসিডেন্ট এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং সম্প্রতি কুয়াংতোং প্রদেশ পরিদর্শনের সময় জোর দিয়ে বলেছেন, কুয়াংতোং হলো সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের অগ্রগামী এলাকা এবং পরীক্ষামূলক অঞ্চল। তিনি বলেন, সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চেতনা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে, আগামী ৫ বছরের লক্ষ্য, মিশন ও ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা করতে হবে, কুয়াংতোং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় এলাকার নির্মাণকাজ এগিয়ে নিতে হবে এবং আধুনিকায়ন নির্মাণের নতুন সুফল অব্যাহতভাবে অর্জন করতে হবে।

৭ ও ৮ নভেম্বর, তিনি মেইচৌ ও কুয়াংচৌ পরিদর্শন করেন। ৭ নভেম্বর বিকেলে, সি চিন পিং মেইচৌ শহরে অবস্থিত ইয়ে চিয়ান ইং স্মারক উদ্যানে যান। সেখানে তিনি ইয়ে চিয়ান ইং-এর ব্রোঞ্জ মূর্তিতে ফুলের ঝুড়ি অর্পণ করেন এবং পরে তাঁর প্রাক্তন বাসভবনও পরিদর্শন করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা আজ যে মহান অর্জন করেছি, তা মাও সে তুং সহ পুরনো প্রজন্মের বিপ্লবীদের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে।” নেতাকর্মী ও জনসাধারণ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের বিপ্লবী চেতনা ধারণ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বাতাবিলেবু মেই চৌয়ের একটি বৈশিষ্ট্যময় কৃষিপণ্য। তিনি কৃষক ও কৃষি প্রযুক্তিবিদদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, গ্রামীণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শিল্পের উন্নয়নই হলো গ্রামীণ অঞ্চলের সার্বিক পুনরুজ্জীবনের ভিত্তি। আমাদের উচিত প্রযুক্তিগত প্রয়োগ জোরদার করা, কৃষি-সংস্কৃতি-পর্যটনের একীভূতকরণকে এগিয়ে নেওয়া এবং শিল্প শৃঙ্খলকে ক্রমাগত সম্প্রসারণ করা। এর মাধ্যমে কৃষকের আয় আরও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিদায় জানানোর সময় তিনি বলেন, সিপিসি ও সরকার পুরনো বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকাগুলোর জন্য সমর্থন নীতি অব্যাহতভাবে জোরদার করবে।

৮ নভেম্বর সকালে, তিনি কুয়াংচৌয়ে কুয়াংতোংয়ের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্প উদ্ভাবনের সমন্বিত উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি কুয়াংতোং প্রাদেশিক পার্টি কমিটি ও কুয়াংতোং প্রদেশ সরকারের কাজের প্রতিবেদন শোনেন।

কুয়াংতোংয়ের বিভিন্ন খাতের সাফল্যের প্রতি তিনি স্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চেতনা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হলো বর্তমানে এবং আগামী সময়ের জন্য সিপিসি ও দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিশন। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, একটি অর্থনৈতিক বড় প্রদেশ ও উন্নত অঞ্চল হিসেবে, ‘পঞ্চদশ পাঁচসালা পরিকল্পনা’ তৈরি করার সময় কুয়াংতোংকে মডেল হতে হবে।

জনহিতকর নীতিগুলোর সার্বিক বাস্তবায়নসহ অনেক খাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে

SBN

SBN

কুয়াংতোং পরিদর্শনে সি চিন পিং : সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে নতুন গতি আনতে হবে

আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রেসিডেন্ট এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং সম্প্রতি কুয়াংতোং প্রদেশ পরিদর্শনের সময় জোর দিয়ে বলেছেন, কুয়াংতোং হলো সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের অগ্রগামী এলাকা এবং পরীক্ষামূলক অঞ্চল। তিনি বলেন, সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চেতনা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে, আগামী ৫ বছরের লক্ষ্য, মিশন ও ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা করতে হবে, কুয়াংতোং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় এলাকার নির্মাণকাজ এগিয়ে নিতে হবে এবং আধুনিকায়ন নির্মাণের নতুন সুফল অব্যাহতভাবে অর্জন করতে হবে।

৭ ও ৮ নভেম্বর, তিনি মেইচৌ ও কুয়াংচৌ পরিদর্শন করেন। ৭ নভেম্বর বিকেলে, সি চিন পিং মেইচৌ শহরে অবস্থিত ইয়ে চিয়ান ইং স্মারক উদ্যানে যান। সেখানে তিনি ইয়ে চিয়ান ইং-এর ব্রোঞ্জ মূর্তিতে ফুলের ঝুড়ি অর্পণ করেন এবং পরে তাঁর প্রাক্তন বাসভবনও পরিদর্শন করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা আজ যে মহান অর্জন করেছি, তা মাও সে তুং সহ পুরনো প্রজন্মের বিপ্লবীদের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে।” নেতাকর্মী ও জনসাধারণ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের বিপ্লবী চেতনা ধারণ করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বাতাবিলেবু মেই চৌয়ের একটি বৈশিষ্ট্যময় কৃষিপণ্য। তিনি কৃষক ও কৃষি প্রযুক্তিবিদদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, গ্রামীণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শিল্পের উন্নয়নই হলো গ্রামীণ অঞ্চলের সার্বিক পুনরুজ্জীবনের ভিত্তি। আমাদের উচিত প্রযুক্তিগত প্রয়োগ জোরদার করা, কৃষি-সংস্কৃতি-পর্যটনের একীভূতকরণকে এগিয়ে নেওয়া এবং শিল্প শৃঙ্খলকে ক্রমাগত সম্প্রসারণ করা। এর মাধ্যমে কৃষকের আয় আরও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিদায় জানানোর সময় তিনি বলেন, সিপিসি ও সরকার পুরনো বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকাগুলোর জন্য সমর্থন নীতি অব্যাহতভাবে জোরদার করবে।

৮ নভেম্বর সকালে, তিনি কুয়াংচৌয়ে কুয়াংতোংয়ের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্প উদ্ভাবনের সমন্বিত উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি কুয়াংতোং প্রাদেশিক পার্টি কমিটি ও কুয়াংতোং প্রদেশ সরকারের কাজের প্রতিবেদন শোনেন।

কুয়াংতোংয়ের বিভিন্ন খাতের সাফল্যের প্রতি তিনি স্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চেতনা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হলো বর্তমানে এবং আগামী সময়ের জন্য সিপিসি ও দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মিশন। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, একটি অর্থনৈতিক বড় প্রদেশ ও উন্নত অঞ্চল হিসেবে, ‘পঞ্চদশ পাঁচসালা পরিকল্পনা’ তৈরি করার সময় কুয়াংতোংকে মডেল হতে হবে।

জনহিতকর নীতিগুলোর সার্বিক বাস্তবায়নসহ অনেক খাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।