
সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী স্বামীর সাথে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে পথেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো দুই সন্তানের জননী গহবধূ রিমা বেগম (৪১)। এ ঘটনায় স্বামী মামুনুর রশিদ, দুই সন্তান মালিহা রশিদ (৬) ও রাইয়ান রশিদ (২) আহত হয়ে এখন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ভর্তি রয়েছে। নিহত গহবধূ রিমা বেগম যশার সদর উপজেলার চাচরা গ্রামের মৃত শেখ ছত্তার আলীর মেয়ে। স্বামীর চাকুরির সুবাদে থাকেন ঢাকায়।
জানা গছ, ঢাকার ইপিজেড এলাকার ইয়াংওয়ান গার্মেন্টসে ব্যবস্হাপক পদে চাকুরি করেন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের মাছলেম আলীর ছেল মাঃ মামুনুর রশিদ। স্ত্রীর বায়না অনুয়ায়ী শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় স্ত্রী রিমা বেগম, দুই সন্তাম মালিহা রশিদ ও রাইয়ান রশিদক নিয়ে কুকুয়াকাটায় বেড়ানার উদ্দেশ্যে সুরভী পরিবনে যাত্রা শুরু করেন। বাসটি ভোর সাড়ে ৫টার সময়ে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের কালিবাড়ি নামক স্হানে আসা মাত্র চালক নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ো বাসটি দুমড়ে মুছড়ে ছিটক পানিতে পরে যায়। এসময়ে যাত্রীদর ডাক চিৎকার শুনে স্হানীয়রা ছুটে আসেন এবং ফায়ার সার্ভিসক খবর দেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্হানীয়দের ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় যাত্রীদের উদ্ধার করা হলেও ঘটনাস্হলেই গৃহবধূ রিমা (৪১) প্রাণ হারান। এবং স্বামী মামুনুর রশিদ ও দু¦ই সন্তান মালিহা রশিদ ও রাইয়ান রশিদ ও বাসের হেলপার রাজু (২৪) গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্য মালিহা ও রাইয়ানের অবস্হা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার খবর পয় আমতলী থানার পুলিশ নিহত রিমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে স্বজনদের আবদনের ভিত্তিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
নিহত রিমার স্বামী মামুনুর রশিদ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, স্ত্রী বায়না ধরছিল সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বেড়াতে যাবে। সেখান সূর্যাস্ত ও সূর্যদোয় দেখবে। দুই সন্তান নিয়প আনন্দ করবো ছবি তুলবো কি তার স্বপ্ন স্বপই থেকে গেলো। কুয়াকাটায় আর তার বেড়ানা হলোনা। আমি কি জবাব দিব আমার দুই আদরের সন্তান মালিহা ও রাইয়ানের কাছে। বলতে বলতে আবার কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
বোন রিমা বেগম নিহতের খবর পেয়ে রবিবার সকালে যশোর থেকে ছুটে এসেছেন ভাই আতিকুর রহমান আজগর। থানার সামনে বোনের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন আর বলেন আমার বোনটা স্বামী সন্তান নিয়ে খুব সুখেই ছিল। কেন যে আল্লায় এমন করলো। দুই সন্তান রপখে ওকে নিয়ে গেলো। কথাগুলা বলছিলেন আর বার বার চোখ মুচছিলেন। তখন উপস্হিত লোকজনও তার সাথে চোখের পানি ফেলছিলো।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, স্বজনদের আবদনোর প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গহবধূ রিমা বেগেমর লাশ তার পরিবারর নিকট রবিবার দুপুর হস্তাÍর করা হয়ছ।