প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সোমবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণবঙ্গের খাস জমি আন্দোলনের নেতা, দশমিনা আবদুর রশিদ তালুকদার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দশমিনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংস্করণ সভাপতি, দশমিনা বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি, স্বাধীনতাকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও গেরিলা যোদ্ধা, বিশিষ্ট সমাজসেবক, কমরেড আবদুস সাত্তার খানের সুযোগ্য সন্তান লিয়ার হোসেন খানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আয়োজনে ২৭/১১/১—এ তোপখানা রোড (৩য় তলা), সেগুনবাগিচা, ঢাকা—১০০০ এ বিকাল ৫ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সংগঠনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, সহ—সভাপতি রেহেনা আক্তার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী শামীম আরা, ’৯০ এর ছাত্র গণ—অভ্যুত্থানের নেতা রাজু আহম্মেদ, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি শাহাবুদ্দীন মাতুব্বর, জামাল হোসেন হাওলাদার, নারী নেত্রী কাজী রেনু প্রমূখ। সভা শুরুতে লিয়ার ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি ১ মিনিট দাঁড়িয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
বক্তারা বলেন, কমরেড লিয়ার হোসেন খান ছোট বেলা থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি—এম এল এর রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তৎকালীন সরকার হুলিয়া জারি করেন। দীর্ঘ বছর আত্মগোপনে ছিলেন এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। তিনি জেল থেকে বের হয়ে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
বক্তারা আরো বলেন, কমরেড লিয়ার হোসেন খান পারিবারিক রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রজীবন হতেই বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং ৭১—র মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল হতে দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিহীনদের খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার সফল কার্যক্রম শুরু হয়। রাজনৈতিক জীবনের নানান উত্থান পতন সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ।
কমরেড লিয়ার হোসেন খানের মৃত্যুতে খাসজমি আন্দোলনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা এখনও পূরণ হয়নি। বর্তমানে খাসজমি আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য লিয়ার খানের মত নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন ছিল। নেতৃবৃন্দ খাসজমি আন্দোলনকে জাতীয় রূপ দেয়ার জন্য সকল ভূমিহীন কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।