
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর, ‘কৃষি, গ্রাম ও কৃষকদের’ কাজের নির্দেশনা প্রদানকারী, ১৩তম কেন্দ্রীয় ১ নম্বর নথি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। সিনহুয়া বার্তা সংস্থা এ তথ্য জানায়।
নথিতে গ্রামীণ সংস্কারকাজকে আরও গভীর করা এবং গ্রামীণ এলাকার ব্যাপক পুনরুজ্জীবনকে দৃঢ়ভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নথির শিরোনাম ‘গ্রামীণ সংস্কারকে আরও গভীর করা এবং ব্যাপক গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে দৃঢ়ভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের মতামত।’ সম্পূর্ণ নথিটি ছয়টি অংশে বিভক্ত।
এগুলো হচ্ছে: শস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করা; দারিদ্র্যবিমোচনের ফলাফলগুলোকে ক্রমাগত সুসংহত ও সম্প্রসারণ করা; জনগণকে সমৃদ্ধ করে এমন কাউন্টি-স্তরের শিল্পগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা; গ্রামাঞ্চলে নির্মাণকাজ উন্নয়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা; গ্রামীণ শাসনব্যবস্থার উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করা এবং ফ্যাক্টর গ্যারান্টি ও সর্বোত্তম বরাদ্দের জন্য ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া উন্নত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা।
নথিতে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের জন্য গ্রামীণ এলাকার ব্যাপক পুনরুজ্জীবন ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন; গ্রামীণ এলাকার ব্যাপক পুনরুজ্জীবন ও একটি শক্তিশালী কৃষিভিত্তিক দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত; ‘দশ মিলিয়ন প্রকল্প’-এর অভিজ্ঞতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন ও প্রয়োগ করা, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বড় আকারের দারিদ্র্য যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করা উচিত; গ্রামীণ শিল্প উন্নয়ন, গ্রামীণ নির্মাণ ও গ্রামীণ শাসনের স্তর উন্নত করা এবং কৃষি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ প্রাণশক্তি বৃদ্ধি ও কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত; এবং চীনা শৈলীর আধুনিকায়নের জন্য মৌলিক সহায়তা প্রদান করা উচিত।
সূত্র: লিলি-আলিম-তুহিনা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।