ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে চীন-স্লোভেনিয়া সম্পর্ক স্থিতিশীল Logo ডিজিটাল অর্থনীতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা Logo উন্মুক্ততা, সংস্কৃতি, অভিন্ন শিকড়’ চীন-আসিয়ান নতুন সেতুবন্ধন Logo সংস্কৃতি বর্ষ উদযাপনে চীন–রাশিয়ার নতুন উদ্যোগ Logo সিআইআইই চীনের বিশ্ব সংযোগের সেতু: লি ছিয়াং Logo মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ Logo দেবিদ্বারে ফ্রিজে পচা খাবার রাখায় তিন হোটেলকে জরিমানা Logo কুমিল্লা -৯ আসনের বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম এর গণসংযোগ Logo কালীগঞ্জে পৃথক অভিযানে ইয়াবা মাদক সহ আটক ৩ জন Logo শরীয়তপুরে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও অসহায়দের মাঝে ঔষধ বিতরণ

কৌশলগত জ্ঞানের ইস্যুটি সর্বদা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘প্রথম বোতাম’: সি চিন পিং

  • রুবি :
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দু’নেতা চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং উভয়পক্ষের অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে অকপট ও গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন।

ফোনালাপে সি চিন পিং বলেন, গত নভেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সান ফ্রান্সিসকোতে দেখা করেছেন এবং ভবিষ্যতমুখী ‘সান ফ্রান্সিসকো ভিশন’ উন্মোচন করেছেন। গত কয়েক মাসে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের অর্জিত ঐকমত্য বাস্তবায়ন করে আসছে। ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়েছে, যাকে উভয় দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে দুই দেশের সম্পর্কের নেতিবাচক উপাদনও বেড়েছে, যেগুলোর দিকে উভয় পক্ষের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, কৌশলগত জ্ঞানের ইস্যুটি সর্বদা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘প্রথম বোতাম’, যাকে শক্ত করা উচিত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, একে অপরকে সম্মান ও শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা এবং জয়-জয় ফলাফলের জন্য সহযোগিতা চালানো। । দু’দেশকে একটি স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই পথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দু’দেশের পিছনে ফিরে যাওয়া উচিত নয়।

সি চিন পিং বলেন, এ বছর চীন-মার্কিন সম্পর্ককে অবশ্যই কয়েকটি প্রধান নীতি মেনে চলতে হবে। প্রথমটি হলো, শান্তিকে মূল্য দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করা, ঝামেলা না করা, সীমা অতিক্রম না করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তৃতীয়টি হলো, বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, কর্মের সাথে তাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা এবং ‘সান ফ্রান্সিসকোর দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘প্রকৃত বাস্তবতায়’ পরিণত করা।
তাইওয়ান ইস্যুটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রথম অনতিক্রম্য লালরেখা বলে উল্লেখ করেন সি চিন পিং। ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’কে সমর্থন না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইতিবাচক বিবৃতি বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জবাবে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সান ফ্রান্সিসকো বৈঠকের পর থেকে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অগ্রগতি দেখায় যে, উভয় পক্ষই দায়িত্বশীলতার সাথে মতপার্থক্য মোকাবিলার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে চলছে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘নতুন শীতল যুদ্ধে জড়াতে চায় না, চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে জোট শক্তিশালী করতে চায় না, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ সমর্থন করে না এবং সংঘাতের কোনো ইচ্ছা নেই ওয়াশিংটনের। দুই প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সংকট এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে চীন-স্লোভেনিয়া সম্পর্ক স্থিতিশীল

SBN

SBN

কৌশলগত জ্ঞানের ইস্যুটি সর্বদা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘প্রথম বোতাম’: সি চিন পিং

আপডেট সময় ১১:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দু’নেতা চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং উভয়পক্ষের অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে অকপট ও গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন।

ফোনালাপে সি চিন পিং বলেন, গত নভেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সান ফ্রান্সিসকোতে দেখা করেছেন এবং ভবিষ্যতমুখী ‘সান ফ্রান্সিসকো ভিশন’ উন্মোচন করেছেন। গত কয়েক মাসে উভয়পক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের অর্জিত ঐকমত্য বাস্তবায়ন করে আসছে। ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়েছে, যাকে উভয় দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে দুই দেশের সম্পর্কের নেতিবাচক উপাদনও বেড়েছে, যেগুলোর দিকে উভয় পক্ষের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, কৌশলগত জ্ঞানের ইস্যুটি সর্বদা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ‘প্রথম বোতাম’, যাকে শক্ত করা উচিত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, একে অপরকে সম্মান ও শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা এবং জয়-জয় ফলাফলের জন্য সহযোগিতা চালানো। । দু’দেশকে একটি স্থিতিশীল, সুস্থ ও টেকসই পথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দু’দেশের পিছনে ফিরে যাওয়া উচিত নয়।

সি চিন পিং বলেন, এ বছর চীন-মার্কিন সম্পর্ককে অবশ্যই কয়েকটি প্রধান নীতি মেনে চলতে হবে। প্রথমটি হলো, শান্তিকে মূল্য দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করা, ঝামেলা না করা, সীমা অতিক্রম না করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তৃতীয়টি হলো, বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, কর্মের সাথে তাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা এবং ‘সান ফ্রান্সিসকোর দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘প্রকৃত বাস্তবতায়’ পরিণত করা।
তাইওয়ান ইস্যুটি চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রথম অনতিক্রম্য লালরেখা বলে উল্লেখ করেন সি চিন পিং। ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’কে সমর্থন না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইতিবাচক বিবৃতি বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জবাবে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সান ফ্রান্সিসকো বৈঠকের পর থেকে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অগ্রগতি দেখায় যে, উভয় পক্ষই দায়িত্বশীলতার সাথে মতপার্থক্য মোকাবিলার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে চলছে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘নতুন শীতল যুদ্ধে জড়াতে চায় না, চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে জোট শক্তিশালী করতে চায় না, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ সমর্থন করে না এবং সংঘাতের কোনো ইচ্ছা নেই ওয়াশিংটনের। দুই প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সংকট এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।